একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
তিনি তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৬১। বাংলায় ৯২, ইংরেজিতে ৮৮, ভূগোলে ৯০, দর্শনে ৯৯ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯২ নম্বর পেয়েছেন তিনি। ইরামের এই সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা-মা থেকে শিক্ষকরা। উচ্চ শিক্ষা শেষে এই মেধাবী আইএএস অফিসার হতে চান।
ইরামের বাবা মহম্মদ মাসুম পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি দিল্লিতে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বছরে এক দু’বার বাড়ি আসেন। পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব ইরামের মায়ের কাঁধে।
ইরাম বলেন,আমার পরিশ্রম সার্থক হল। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেছি। স্কুল ও গৃহশিক্ষকরা আমাকে সবরকমভাবে সাহায্য করেছেন। আমি নিজেও পরিশ্রম করেছি। আগামী দিনে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার ইচ্ছা রয়েছে। মেয়ে এত ভালো ফল করায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে খুশিতে কেঁদে ফেলেন ইরামের বাবা মাসুম। তিনি বলেন,খুব খুশি হয়েছি। আমি মেয়েকে সবসময় বলতাম, কষ্ট করে পড়াচ্ছি, ভালো করে পড়। যাতে তার মূল্যটা আমরা পাই।
মেয়ের এই অভাবনীয় সাফল্যেও দুশ্চিন্তা পরিযায়ী শ্রমিক মাসুমের। মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য খরচ জোগাতে আরও প্ররিশ্রম করতে হবে তাঁকে। বলেন, যদি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।