ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, গদাই ‘হেভিচ্যুয়েট অফেন্ডার’। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতেই মাদক প্যাকেজিং ইউনিট গড়ে তোলে। এজন্য সে একটি গ্যাংও তৈরি করেছিল বলে সন্দেহ। এর নেটওয়ার্ক মূলত ডুয়ার্সে ছড়িয়ে রয়েছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিস কমিশনার শুভেন্দর কুমার বলেন, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কয়েক মাস ধরেই ভক্তিনগর থানার শরৎপল্লিতে সক্রিয় মাদক কারবারিরা। বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে কয়েকজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিস হেভিচুয়েট অফেন্ডার গদাইয়ের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে। অবশেষে এদিন দুপুরে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ও ভক্তিনগর থানার পুলিস যৌথভাবে গদাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদকের কনসাইনমেন্ট হাতবদলের সময় গদাই সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের নাম সরস্বতী বিশ্বাস, রবি বিশ্বকর্মা, শেখ আসমত আলি ও তৃপ্তিময় বৈদ্য। প্রথমজন গদাইয়ের স্ত্রী। দ্বিতীয়জন গদাইয়ের সহকর্মী। ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী। তৃতীয়জন মুর্শিদাবাদের নওদা এবং চতুর্থজন নদীয়ার কালিগঞ্জের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে ব্রাউন সুগারের দু’টি প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার ওজন ১ কেজি ৩২ গ্রাম। এছাড়া, তিনটি মোবাইল ফোন এবং ৭ লক্ষ ৯ হাজার ৯০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সবগুলি ৫০০ টাকার নোট।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস অফিসাররা জানান, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার পাচারকারীরা কমিশনের ভিত্তিতে মাদকের কনসাইনমেন্ট নিয়ে এখানে বাসে আনে। সম্ভবত বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই টাকা তাদের কাছে তুলে দেওয়া হতো। এরপর সেই বাড়িতে মাদকের পুরিয়া ৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম ও ২০০ গ্রামের প্যাকেট তৈরি করা হতো। তা স্থানীয় এলাকার পাশাপাশি বাইরে পাচার করা হতো। ইটের দেওয়াল দেওয়া একতলা বাড়ি। রুমের সংখ্যা চারটি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই গদাই এই প্যাকেজিং ইউনিট গড়ে তুলেছিল।
মাদকের এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড গদাই। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় হাকিমপড়ায় একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মাদের কারবার চালাত গদাই। ধরা পড়ার পর সে জেলে যায়। ছাড়া পাওয়ার পর ঠিকানা বদল করে। হায়দরপাড়ার শরৎপল্লিতে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে। বছর খানেক আগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। মাসখানে আগে সে জামিন পায়। জেল থেকে বেরিয়েই নিজের পুরনো পেশায় ফেরে।
পুলিস অফিসাররা বলেন, গোয়েন্দাদের র্যাডারে ছিল গদাই। টানা একমাস ধরে তার গতিবিধির উপর নজর রেখে জানা যায়, বড় আকারে মাদকের কারবার শুরু করেছে সে। এজন্য সে স্ত্রী সহ কয়েকজনকে নিয়ে গ্যাংও তৈরি করেছে। পুরিয়া বিক্রির পাশাপাশি মাদকের কনসাইনমেন্ট আলিপুরদুয়ার, জয়গাঁ, মালবাজার সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করত। এদের কমিশন দিত গদাই। এরসঙ্গে মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের যোগসাজশ রয়েছে বলে খবর।