ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন শিবা রায় (২৬)। শুক্রবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শিবা রায়ের দেহ তাঁর পরিবারের লোকজন বালেশ্বরের হাসপাতালে শনাক্ত করেছেন। সেখান থেকে তাঁর দেহ দিনহাটার বাড়িতে পাঠানোর সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতমাসে কাজের সন্ধানে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন শিবা। কিন্তু, সেখানে ভালো কোনও কাজের খোঁজ না পাওয়ায় যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস চেপে হাওড়া হয়ে তাঁর দিনহাটার বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, হাওড়া পৌঁছনোর আগে ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর।
শিবার মা লক্ষ্মী রায় রবিবার বলেন, ছেলের সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে শেষবার কথা হয়েছিল। হাওড়ায় পৌঁছে ফোন করার কথা ছিল। কিন্তু, শিবা আর বাড়ি ফিরল না। ও কোনওদিন আর আমাকে মা বলে ডাকবে না বলেই ভেঙে পড়েন লক্ষ্মীদেবী। শিবার ভাই স্বপন রায় বলেন, দাদা ২৪-২৫ দিন আগে রাজমিস্ত্রির কাজে বেঙ্গালুরু গিয়েছিল। কাজ না হওয়ায় বাড়িতে আসছিল। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনা ঘটলেও বিকেলে মায়ের সঙ্গে কথাও বলেছিল। দাদা ট্রেন দুর্ঘটনায় এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতেই পারছি না।
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান রবিবার বলেন, ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় শিবা রায়ের দেহ তাঁর পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছে। জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এদিন দুপুরে নিখোঁজ জিসানের বাড়িতে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, এলাকার বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। তাঁদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। সকলেই পরিবারটির পাশে থাকার পাশাপাশি নিখোঁজ জিসানকে যাতে দ্রুত খুঁজে বের করা যায় তার চেষ্টা করছেন বলে আশ্বস্থ করেন।
মন্ত্রী বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। জিসানের খোঁজ চলছে। পার্থপ্রতিম রায় বলেন, শিবা রায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। শিবার মা, স্ত্রী ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা সকলে খুবই ভেঙে পড়েছেন। আমরা পরিবারটির পাশে আছি।