ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
শুক্রবার রাতে নেশার ঠেক চালানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বারোপাটিয়া নতুনবস গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূলের এসটি এসসি ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস। নাকে, মুখে আঘাত নিয়ে তিনি এখন চিকিৎসাধীন। তৃণমূল নেতার মেয়ের দাবি, পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোডালিয়া পাড়ায় যেখানে আমার বাবার উপর হামলা হয়, সেই এলাকায় কিছুদিন ধরে নেশার ঠেক সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মদ, ব্রাউন সুগারের নেশা করে ওরা এলাকায়, নিজের বাড়িতে অশান্তি করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতা হিসেবে বাবার কাছে ভূরিভূরি অভিযোগ আসছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে এবং একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে বাবা ওই নেশার ঠেকের প্রতিবাদ করতে সেখানে যান। বিষয়টি প্রশাসনকেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি আহত হন। আমার বাবার উপর হামলার ঘটনায় প্রশাসন কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখনও আরও কয়েকজন আছে, যারা এখনও ধরা পড়েনি। আমি আশা করি, ওই ঘটনায় পুলিস অন্যান্য দোষীদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। পাশপাশি মাদকের নেশার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।
নেশার ঠেক চালানোর বিরুদ্ধে গিয়ে কৃষ্ণ দাসের আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গে রবিবার জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কাছে নেশাভান করার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে। আমাদের কাছেও আসে। আমরা বিষয়গুলি নিয়ে পুলিস প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকি। কৃষ্ণ দাসের সরাসরি সেখানে যাওয়া ঠিক হয়নি।
এদিকে জেলার পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত বলেন, যখন যেখানে থেকে অভিযোগ আসে, তখনই সেখানে অভিযানে যায় পুলিস। তাছাড়া লাগাতার মাদক বিরোধী অভিযান চলে। নেশাগ্রস্তদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ রুখতে পুলিস প্রায়দিনই অভিযান চালায়। সেইসঙ্গে এসপি বলেন, বারোপাটিয়া নতুনবস গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণ দাস আক্রান্ত হওয়ার আগে এলাকা থেকে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। পুলিস বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি রাখছে।