ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
স্ত্রী বেদানাদেবী ছাড়াও নিতাইবাবুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্বপন বড়। বাড়িতে আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে সংসারের হাল ফেরাতে স্বপন কেরল যাচ্ছিলেন নির্মাণ শ্রমিকের কাজে। অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন তিনি।
একদিকে নাওয়াখাওয়া নেই। অন্যদকে, ছেলের জন্য দুশ্চিন্তা। তাই স্বপনের বাবা নিতাইবাবু মানসিকভাবে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। রবিবার ভদ্রক থেকে টেলিফোনে স্বপনের পিসতুতো দাদা অসিতবাবু বলেন, ভদ্রকে নেমে প্রথমেই এখানকার জেলা হাসপাতালে যাই। কিন্তু স্বপনের খোঁজ মেলেনি। পরে একটি হেল্পলাইন নম্বর থেকে বলা হয় স্বপন কটকের এইমস হাসপাতালে আছে। স্বপনের ছবিও দিয়েছে হেল্পলাইন নম্বর থেকে। তার খোঁজ পেয়েই আমরা রবিবার সন্ধ্যায় কটকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। রবিবার রাতে কখন কটকে পৌঁছব জানি না। কটকে পৌঁছে স্বপনকে কী অবস্থায় দেখতে পাব, বুঝতে পারছি না। স্বপনের বাবা ভেঙে পড়েছে। খুব দুশ্চিন্তা নিয়ে কটক যাচ্ছি।
স্বপনের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁদের প্রতিবেশীরাও। প্রতিবেশী ভবতোষ দাস ওই ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই স্বপনের খোঁজ মিলছিল না। তাই পরিবারের লোকজন ওড়িশা রওনা দিয়েছেন তাঁর খোঁজে। স্বপন সুস্থ শরীরে ফিরে আসুক ঈশ্বরের কাছে আমরা এখন এই প্রার্থনা করছি।
বাড়িতে স্বপনদের সামান্য কিছু জমিজমা আছে। কিন্তু, তা দিয়ে সংসার চলছিল না তাঁদের। তাই সংসারের আর্থিক অবস্থা ফেরাতেই স্বপন কেরলে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, কেরল যাওয়া পথে যে এরকম বিপত্তির মধ্যে পড়তে হবে তা স্বপন বা তাঁর পরিবারের কেউই জানত না।