ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
রবিবার মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে এজেলার মোট ২৯ জন পড়েছেন বলে এদিন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তারমধ্যে ১৩ জন জেলায় ফিরেছেন। তাঁদের চোট আঘাত তেমন গুরুতর ছিল না। বাকিদের মধ্যে চার জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায় দুর্ঘটনায় মৃত মাসরেকুল আলমের দেহ জেলায় আনা হয়। তাঁর শেষকৃত্যের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা প্রশাসন দেখবে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি জখমদের সুস্থ করে জেলায় ফেরানোর ব্যাপারেও যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা আমরা দেখছি। পরিবার ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাসরেকুলের দেহ পরিষ্কার করে রাত আটটা নাগাদ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে শববাহী গাড়ি। এদিকে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মৃতদেহের অপেক্ষা করছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে এলাকার অগণিত মানুষ।
এই প্রসঙ্গে নিহত মাসরেকুলের এক কাকা মহম্মদ ইসমাইল বলেন, বাড়িতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কখন মৃতদেহ আসবে। দিনের বেলাতেই আমরা কবর খনন করে রেখেছি। দাফন কার্যের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি। বাড়িতে মৃতদেহ ফিরলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। এই অবস্থাটা আমাদের জন্য ভীষণ কষ্টকর।
মাসরেকুলের শববাহী গাড়িতে রয়েছেন তাঁর এক কাকা আজমল হক। তিনি বলেন, মাসরেকুলের মৃতদেহ ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসে। সেখানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আমরা সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মৃতদেহ পাই। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আমরা সেই গাড়িতে করেই মাসরেকুলের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আছেন। এদিকে স্বামীর অপেক্ষায় বাড়িতে বসে অশ্রু বিসর্জন করছেন তাঁর স্ত্রী রুকসানা খাতুন। বাকরুদ্ধ হয়ে তিনি বলেন, কুরবানী ঈদের আগেই বাড়ি ফিরব বলেছিল। কিন্তু তাকে এইভাবে লাশ হয়ে ফিরতে হবে ভাবিনি।
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ বিষণপুরের নুরুল ইসলাম। যদিও তাঁর কাকা মহবুল হক বলেন, একটি দেহের ছবি আমরা চিহ্নিত করেছি নরুলের বলে। কটকে আমাদের লোক আছে তারা খোঁজ পেয়েছে নরুলের লাশ ভুবনেশ্বরে হাসপাতালে আছে। যদিও চাঁচল থানার পুলিস জানিয়েছে,ওই লাশের ছবি দেখে অনেকেই দাবি করছেন তাদের আত্মীয়ের লাশ বলে। তাই এটা এখনও নিশ্চিত নয়।