কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মাথাভাঙা-১ ব্লকের নয়ারহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কিছু নয়। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দলেরই একাংশ কর্মীর হুমকিতে অফিসে আসা বন্ধ করেছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ওই সময় বাজার এলাকায় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর হুমকিতে সাধারণ দলের কর্মীদের একাংশ বাজারে আসতে পারছিলেন না। বাজারে এলেই তাঁদের মারধর সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হতো। সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে দপ্তরে নিয়ে গিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। এরপর এদিন প্রাক্তন বিধায়ক হিতেন বর্মন ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে অঞ্চল অফিসে গিয়ে বসেন। হিতেন বর্মন অনুগামীদের বের করে দিতে বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন বাজার এলাকায় জমায়েত হয়। এ নিয়ে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাথাভাঙা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দুপুর ২টো নাগাদ পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে যায় হিতেন বর্মন অনুগামীরা।
এ ব্যাপারে ব্লক কমিটির সদস্য হিতেন বর্মন অনুগামী বলে পরিচিত রজনীকান্ত বর্মন বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাজারে আসতে পারছিলাম না। আমরা দলের মধ্যে বিভাজন চাই না। আমাদের পার্টি অফিসে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না। এখন থেকে নিয়মিত পার্টি অফিসে আমরা আসব। এ ব্যাপারে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের আহ্বায়ক শ্রীমন্ত অধিকারী বলেন, কিছু লোক পার্টি অফিসে এসে আমাদের নামে বদনাম করছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরবর্তী সময়ে এই লোকগুলি দলের হয়ে কোনও কাজ করেনি। বাজারে এসে দলীয় কর্মীদের নামে বদনাম করা হলে কিংবা কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।
মাথাভাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, নয়ারহাটে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হয়নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, নয়ারহাটে কোনও সমস্যা হয়নি। দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। যারা এ ধরনের কাজে ইন্ধন দেবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রাক্তন বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, নয়ারহাটে কি হয়েছে, জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।