কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে সংস্থার বাস কলকাতা রুটে চালানো হবে। ওই চার জায়গার ডিপো থেকে অন্তত দু’টি করে বাস চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কোন দিন, কোন সময় বাস পরিষেবা চালু হবে, তা এর মধ্যেই ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রাম তথা মফস্সলের বহু মানুষের ইচ্ছে থাকে পুজোর সময় কলকাতামুখী হওয়ার। কলকাতার পুজো উপভোগ করার। আমাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে সেই চিন্তাও কাজ করেছে। আমাদের আশা, ওই চার জায়গার মানুষ কলকাতাগামী বাসের যাত্রা উপভোগ করবে।
এনবিএসটিসির জলপাইগুড়ি ডিপো সূত্রে খবর, পুজোর সময় ট্রেন এবং বিমানের সিংহভাগ টিকিট আগাম বুকিং হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বহু ট্রেন এবং বিমানে সংরক্ষিত টিকিট শেষ। শিলিগুড়ি থেকে যে সরকারি বাস কলকাতা যায় তাতেও পুজোর সময় যাত্রী চাহিদা মেটে না। তাছাড়া জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে সরাসরি বাস না থাকায় সেখানকার কলকাতাগামী যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে বরাবরই চাপ এসে যায় বেসরকারি বাসের উপর। এসব বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত সংস্থা নিয়েছে।
এছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে প্যাকেজট্যুরে জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে এনবিএসটিসি লাভা, লোলেগাঁওয়ের মতো এলাকা সহ জেলার দর্শনীয় কয়েকটি স্থানে বিশেষ বাস চালাবে। ইতিমধ্যে প্রবল উৎসাহের সঙ্গে মানুষ ওসব বাসের টিকিট বুকিং করছে। কিন্তু, ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে অনেক উৎসাহী যাত্রীর ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ এখনও হয়নি। যা নিয়ে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, সরকারি নিয়মে উত্তরবঙ্গের পর্যটনস্থলগুলির হোটেল, রিসর্টে থাকতে হলে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এ ব্যাপারে অবশ্য এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সরকারি নিয়মের বাইরে আমরা যেতে পারব না। তবে এনবিএসটিসির বাসে চেপে যাঁরা যেতে ইচ্ছুক, সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে পুজোয় ঘুরতে বেরিয়ে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে না হয়।