কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনগুলির মধ্যে দিনহাটা কেন্দ্রের দিকে সব দলেরই বিশেষ নজর রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এখানে বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করেও এলাকা উত্তপ্ত হয়েছিল। আবার নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিংসায় এখানে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই নির্বাচনে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক ও উদয়ন গুহর মতো দুই হেভিওয়েট নেতার লড়াই হয়েছিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নিশীথ প্রামাণিক মাত্র ৫৭ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এবারও দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের আশঙ্কা করছে একাংশ রাজনৈতিক দল। যদিও জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয়ে নজর রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক পবন কাডিয়ান বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ সহ অন্যান্য বিষয় বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুলিস সুপারের অফিসে নির্বাচনী সেল গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসার ব্যাপারে জেলাশাসক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা যখন আসবে তখন তা জানাতে পারব।
পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, কোনও গণ্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হলে গ্রেপ্তার করা হবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হবে। আমাদের লক্ষ্য স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন করা। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি দীপক সরকার বলেন, দিনহাটার আইন শৃঙ্খলার যা অবস্থা তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা দরকার। প্রতিটি বুথে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে সেইটি দেখতে বলেছি। বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের উপরে জোর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫২ জন। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯১৫ জন পুরুষ ও ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৩৭ জন মহিলা ভোটার। এখানে তৃতীয় লিঙ্গের কোনও ভোটার নেই। দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারের সংখ্যা ৩৮৮৩। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারের সংখ্যা ১১৮৪ জন।