কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩০ আসন বিশিষ্ট রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির ২৬টি আসন দখল করে তৃণমূল। বাকি চারটি আসনের মধ্যে তিনটি বাম-কংগ্রেস জোট ও একটি নির্দল প্রার্থীর দখলে যায়। পরবর্তীতে সকলেই তৃণমূলে যোগদান করেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন আবিদা বেগম। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন তৃণমূল সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করেন। তার মধ্যে ১০ জন রতুয়ার বিজেপি নেতা শেখ ইয়াসিনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর ওই ১৮ জন সদস্য আবার নির্দলে নাম লেখান। চার মাস আগে তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবিদা বেগমের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ১ সেপ্টেম্বর অনাস্থা ভোটে আবিদা বেগম পদ থেকে অপসারিত হন। তারপর এদিন সভাপতি পদের নির্বাচন হয়।
তৃণমূলের মালদহ জেলা সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ হেসামুদ্দিন বলেন, এদিন আলতাফুন নেসা সর্বসম্মতিতে রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৩০ জন সদস্যের মধ্যে বেশকিছু সদস্য নির্দল ও বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। ২২ সেপ্টেম্বর দলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে ফিরেছেন। সেই সদস্যদের সহযোগিতায় এদিন নতুন সভাপতি গঠন করা হয়েছে।
তৃণমূলের রতুয়া-১ ব্লক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, যেসব সদস্য বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তাঁদের সমর্থনে দলীয় সভাপতি আবিদা বেগমকে অপসারণ করা হয়েছে। এর পিছনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে দলের জেলা নেতৃত্ব। এনিয়ে সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, জেলা সভাপতি নিযুক্ত হলে পরে ব্লক সভাপতি আর কেউ থাকে না। স্বাভাবিকভাবে জেলার কোনও ব্লকে এখন কেউ ব্লক সভাপতির দায়িত্বে নেই। তাই তাঁর অভিযোগ নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। এবিষয়ে জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তবে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।