কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেবাশিসবাবু বিজেপিতে চলে যান। তিনি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। ওই পদের বোর্ড লাগানো গাড়ি নিয়ে বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। আইন বিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এবিষয়ে দেবাশিসবাবু বলেন, সরকার থেকে আমাকে গাড়ি দেওয়া হয়নি। আমি যে গাড়িতে চলাফেরা করি, তা আমার ভাড়া নেওয়া। আর আমি গাড়ি নিয়ে যখন আমার অফিসে আসি, তখনই কখনও কখনও গাড়িতে বোর্ড লাগানো থাকে। সবসময় থাকে না। আমি বর্তমানে সেভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিজেপিকে সমর্থন করি। তাই আমার নামে কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠছে বুঝতে পারছি না। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, এবিষয়ে আমি এখনও কোনও অভিযোগ পত্র পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে বলতে পারব।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বালুরঘাটের বাসিন্দা দেবাশিস মজুমদার জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। কিন্তু এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস দলবিরোধী কাজের জন্য দেবাশিসবাবুকে বহিষ্কার করে। তারপরই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। এরপর থেকেই বিজেপির বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা ও কর্মসূচিতে তাঁকে গাড়িতে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে যেতে দেখা যায় বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাই জেলাশাসক বিষয়টি নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবেন। আশা করি আইন অনুযায়ী তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে পাল্টা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপী সরকার বলেন, দেবাশিস মজুমদার ওই পদে রয়েছেন এবং সরকারি কাজেই ওই বোর্ড ব্যবহার করেন। তিনি দলীয় কাজে অংশ নিচ্ছেন এমনটা দেখিনি। আসলে তৃণমূলই সরকারি পদের অপব্যবহার করে। তাই অন্যদের ক্ষেত্রেও তাই ভাবছে।