কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
বিভিন্ন সময় ধৃতদের ও সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদিন মাদক কারবারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে এসটিএফ। সকাল থেকে তারা নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন পানিট্যাঙ্কি এলাকায় জাল বিস্তার করে। এসটিএফ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি বাসস্টপের কাছে দীর্ঘক্ষণ ধরে দু’জন দাঁড়িয়েছিল। একজন ঘনঘন ফোন করছিল। আর একজন চা ও পানের দোকানের আশপাশে ঘুরঘুর করছিল। দুপুরের পর বাস থেকে নেমে পিঠে ব্যাগ নিয়ে তাদের কাছে আসে আরএকজন। তখনই তাদের ঘিরে ধরেন এসটিএফের অফিসাররা। ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ব্রাউন সুগারের প্যাকেট মিলতেই কারবারিদের একজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসটিএফের অফিসাররা ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলেন।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বিষ্ণু ছেত্রী, বিজয় দাহাল ও কৃষ্ণ শর্মা। অসমের তিনসুকিয়ায় বিষ্ণুর বাড়ি। বিজয় নেপালের ঝাঁপার বাসিন্দা। পানিট্যাঙ্কিতে বাড়ি কৃষ্ণর। বিষ্ণু ওই ব্যাগ হস্তান্তর করছিল বিজয়কে। ব্যাগ থেকে ব্রাউন সুগার ভর্তি আটটি প্যাকেট উদ্ধার হয়। প্যাকেটগুলির ওজন ছিল ভিন্ন ভিন্ন। সেগুলির মোট ওজন ৬ কেজি ৭৮০ গ্রাম। যার দাম প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এসটিএফের অফিসাররা বলেন, চায়ের দোকান ও বাসস্টপে ওঁত পেতে বিজয় ও কৃষ্ণর উপর নজর রাখা হচ্ছিল। সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিষ্ণুর চেহারা হুবহু মিলে যায়। মাদক হস্তান্তর করার সময় তিনজনকেই ধরা হয়। এদিন ধৃতদের বিরুদ্ধে খড়িবাড়ি থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করে এসটিএফ। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমার বিশেষ আদালতে তোলা হবে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর এসটিএফের অফিসাররা জানান, ধৃতদের মধ্যে বিষ্ণু মূল পাণ্ডা। অসম থেকে ট্রেন ও একাধিক বাস পরিবর্তন করে ব্রাউন সুগারের কনসাইনমেন্ট নিয়ে এখানে আসে সে। নেপালের বিজয় ছিল রিসিভার। সে নেপালের একাংশে ব্রাউন সুগারের কারবার নিয়ন্ত্রণ করে। পথ চেনানো সহ বিভিন্নভাবে বিজয়কে সহযোগিতা করছিল কৃষ্ণ। সে সম্ভবত এই কারবারের ক্যারিয়ার। ধৃতদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরের মাদক মাফিয়া চক্রের যোগাযোগ রয়েছে বলে এসটিএফের সন্দেহ। এসটিএফের ডিএসপি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মাদক কারবারের বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই সক্রিয় এসটিএফ। গত আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত তারা মাদক কারবারের তিনটি সিন্ডিকেটের হদিশ পেয়েছে। কয়েকদিন আগে মণিপুরের এক মহিলা সহ তিনজনকে ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার করে।