উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, কাওয়াখালি-পোড়াঝাড়ে প্রস্তাবিত উপনগরী প্রকল্পে জমিদাতাদের পুনবার্সন নিয়ে জটিলতা দীর্ঘদিনের। বিগত বাম জমানায় সিঙ্গুরের ধাঁচে এখানে আন্দোলন করেন জমিদাতারা। অতীতে বাম সরকার বহু চেষ্টা করেও সেই সমস্যা মেটাতে পারেনি। এবার সেই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে এসজেডিএ’র তরফে জমিদাতাদের একাংশকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। এবার আরও ২৯০ জন জমিদাতাকে পুনর্বাসন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসজেডিএ সূত্রের খবর, প্রায় দেড় দশক আগে কাওয়াখালি-পোড়াঝাড় এলাকায় উপনগরী গড়তে ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেসময় সরকার জমিদাতাদের পুনবার্সনের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। সেই মতো ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১৯ সালে লটারি করে ৭৫০ জন জমিদাতাকে জমির প্লট দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে যে যেমন জমি দিয়েছিলেন, সেই অনুপাতে পুনবার্সনের জন্য প্লট পেয়েছেন। এজন্য প্লটের পরিমাণ চারটি ক্যাটিগরিতে ভাগ করা হয়েছে। দেড়, দুই, তিন ও পাঁচ কাঠার প্লট রয়েছে।
এর বাইরেও আরও ২৯০ জন জমিদাতা পুনবার্সনের জন্য আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা জমির বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে মূল্যবাবদ চেক নিয়েছেন। যারমধ্যে ২৫০ জনের বিপুল পরিমাণ জমি প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এবার তাঁদেরকে তিস্তা সিটিতে ৪৫০-৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাকি ৪০ জন প্লট পাবেন। সংশ্লিষ্ট জমিদাতাদের তালিকা এবার চূড়ান্ত করা হয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই রাজ্য পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে উপনগরী গড়তে ওই জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৩০০ একর জমির মধ্যে দার্জিলিং জেলায় ৯০ একর রয়েছে। যা মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাওয়াখালির মৌজার অন্তর্গত। বাকি ২১০ একর জমি রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। যা রাজগঞ্জ ব্লকের ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পোড়াঝাড় মৌজার মধ্যে পড়ে। ২০০৭ সালে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়। তখন সেখানে উপনগরী গড়তে একটি সংস্থাকে বরাত দেয় এসজেডিএ। ওই সংস্থা প্রস্তাবিত প্রকল্প ছেড়ে চলে যায়। এরপর ২০১১-১২ সালে এসজেডিএ’র কাছ থেকে ওই জমি নিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। প্রথমে এখানে ফিল্ম সিটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করে এখানে ৮৪ একর জমিতে তিস্তা থিম সিটি গড়ার পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সরকার। এখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুব্যবস্থা করার পাশাপাশি বসবাস এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। ইতিমধ্যে পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর টেন্ডার করে প্রকল্পটি রূপায়নের দায়িত্ব দিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। বর্তমানে সেখানে এসজেডিএ’র কাছে ৯০ একর জমি রয়েছে। সেখানেই জমিদাতাদের পুনবার্সন দেওয়ার কাজ চলছে।