উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মাথাভাঙা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরসভা দু’টি টিম করেছে। একটি মহিলাদের টিম ও অপরটি পুরুষদের। মহিলা টিমের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কোথাও নিকাশি নালা বা নিচু জায়গায় জল জমে থাকলে তা পুর ভবনে এসে রিপোর্ট করছেন। পুরুষ কর্মীদের সংশ্লিষ্ট জায়গায় গিয়ে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন, আগাছা সাফ করছেন। ডেঙ্গু নিয়ে পুরসভা খুবই সতর্ক রয়েছে। করোনাকালে যাতে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত না হয় তারজন্য এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিনদিক নদী ঘেরা মাথাভাঙা শহরে প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত হয়। অনেকেই ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হন। বাসিন্দারা নিকাশি নালা নিয়মিত সাফাই না করা, যত্রতত্র জমে থাকা জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করার অভিযোগ তোলেন। নদীবাঁধ এলাকায় অনেক নিচু জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টির জল জমে থাকে। ওসব জল নিষ্কাশনের জন্য নালা করার দাবি বহুদিনের। যদিও পুরসভার দাবি, নিচু জায়গা থেকে জল বের করার জন্য সম্প্রতি বেশকিছু জায়গায় নালা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি জায়গা চিহ্নিত করে নিকাশি নালা তৈরির প্রস্তাব রাজ্যের কাছে পাঠানো আছে। এখন নদীবাঁধে থাকা ঝোপঝাড় পরিষ্করা করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে শহরের হাইড্র্যান্টগুলিতে নিয়ম করে মশা মারার কামান দাগা হচ্ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে শহরে ছড়িয়ে না পড়ে তারজন্য পুরসভা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুরবাসী জানান, শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে সুটুঙ্গা নদী। শনিমন্দির থেকে শুরু করে সুটুঙ্গা নতুন সেতু পর্যন্ত এলাকায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কচুরিপানা জমে আছে। ওসব কচুরিপানা থেকে পতঙ্গবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। তাঁরা নদী থেকে কচুরিপানা তুলে ফেলার দাবি করছেন। পুরসভা জানিয়েছে, বর্ষা শুরু হলেও এখনও সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় সুটুঙ্গার জল তেমন বাড়েনি। নদীর জল বাড়লে স্রোতে কচুরিপানা ভেসে চলে যাবে।