উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর গঙ্গাপ্রসাদবাবু টেলিফোনে বলেন, আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। কিন্তু, তৃণমূল নেতৃত্বকে বলেছি, আমার কোনও পদের দরকার নেই। বলেছি, দলে যেন আমার সম্মান থাকে।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি বলেন, গঙ্গাপ্রসাদবাবু সদ্য দলে এসেছেন। ওঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে দল কাজে লাগাবে। তবে ওঁকে দলের বা সরকারি কোনও পদ দেওয়া হবে কি না, তা ঠিক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, সরকারি কমিটিগুলির কোন কমিটিতে কে চেয়ারম্যান হবেন, তা মনোনীত করে রাজ্য সরকার। বলা বাহুল্য, সরকারি কমিটিগুলির চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা শাসক দলের লোকজনই। জেলার ১১টি সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদে রাজ্য সরকার কাদের বসাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলায় তৃণমূলের অন্দরে নানা জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, এই মুহূর্তে ১১টি সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদ শূন্য। দ্রুত ওইসব পদ পূরণের তোড়জোড় চলছে। কাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, তা রাজ্য সরকার শীঘ্রই জেলা থেকে দলের কাছে নাম চেয়ে পাঠাবে বলে জানতে পেরেছি। আমরা এ নিয়ে প্রস্তুত।
জেলায় এই মুহূর্তে যেসব সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদ ফাঁকা, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলা পরিষদের মেন্টর, শিলিগুড়ি-তরাই-ডুয়ার্স ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ফর গোর্খা, জেলা আইসিডিসিএস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি, জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, ডিস্ট্রিক্ট হেলথ রিক্রুমেন্ট বোর্ড প্রভৃতি। জেডিএ’র চেয়ারম্যান হিসেবে এখন কাজ চালাচ্ছেন জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা।
এছাড়া আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও জেলা আরটিও বোর্ডের সদস্যপদ দু’টিও দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা। যদিও জেলায় এই সরকারি কমিটিগুলির চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে কারা বসবেন, তা নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে।
প্রসঙ্গত, জেলা আইসিডিএস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, জেলা পরিষদের মেন্টর, শিলিগুড়ি-তরাই-ডুয়ার্স ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ফর গোর্খা ও ডিস্ট্রিক্ট হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড সহ অনেক সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা। মোহনবাবু বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যাওয়ার আগে সবক’টি সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন।
বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানোর জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে হয় সৌরভ চক্রবর্তীকে। সেই থেকে আরকেএসের চেয়ারম্যান পদটি ফাঁকা। বিধানসভা ভোটে জিততে না পারলেও সৌরভবাবু ও কালচিনির পাশাং লামাকে সরকারি কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হতে পারে বলে তৃণমূলের অন্দরে কানাঘুঁষো শুরু হয়েছে।