নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
উল্লেখ্য, এর আগে ভোটের দিনগুলিতেই নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাত। এবার নজিবিহীনভাবে ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। তারপরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে কমিশন আরও বাহিনী রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে মোট ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। মঙ্গলবার বিষয়টি জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দুই দফায় নির্বাচন রয়েছে এমন জেলাগুলিকেই এক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৫ কোম্পানি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩১ কোম্পানি, বাঁকুড়ায় ২৪ কোম্পানি এবং পুরুলিয়ায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণায় আট কোম্পানি এবং ঝাড়গ্রামে সাত কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে ১-৫ কোম্পানি পর্যন্ত বাহিনী পাঠানো হবে। প্রতি কোম্পানিতে সাধারণত ১০০-১২০ জন জওয়ান থাকেন। ফলে দুই দফায় ১৭ হাজারেরও বেশি জওয়ানকে রাজ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দৈনিক রুট মার্চের খুঁটিনাটি রাত ৮টার মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। ওই রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর জওয়ানদের পরের দিনের গতিবিধিও জানাতে হবে। সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে সেই রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে আপলোড করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রিপোর্টের প্রতিলিপি রাজ্য পুলিসের অতিরিক্ত মহানির্দেশকের (আইনশৃঙ্খলা) কাছে পাঠাতে হবে। অবজার্ভাররা জেলায় ঢোকার পর থেকে তাঁদের কাছেও রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে জেলাশাসকের সঙ্গে পুলিস সুপার অথবা পুলিস কমিশনারকে সই করতে হবে। রিপোর্ট তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন একটি ফরম্যাট তৈরি করে দিয়েছে। সেখানে জেলা, মহকুমা, ব্লক, থানা ও গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের টহলদারির তথ্য লিপিবদ্ধ করার ছক রয়েছে। কোন এলাকায় বাহিনীর জওয়ানরা কত কিলোমিটার রাস্তা টহল দিয়েছেন, তা সেখানে লিখতে হবে। পরের দিনে কোন জায়গা থেকে বাহিনীর টহল শুরু হয়ে কোথায় শেষ হবে, তাও লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় সবমিলিয়ে মোট ১১ কোম্পানি বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। তারমধ্যে ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ পুলিস জেলায় চার কোম্পানি, দক্ষিণ দিনাজপুরে দুই কোম্পানি এবং মালদহে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলাতেই বাহিনীর জওয়ানরা টহল দিতে শুরু করেছেন। জেলাশাসক এবং পুলিস সুপাররাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রুট মার্চে অংশ নিচ্ছেন। এখন মূলত স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে জওয়ানরা যাচ্ছেন। পরবর্তীকালে জেলার প্রতিটি অঞ্চলেই বাহিনীর জওয়ানরা টহল দেবেন। বর্তমানে তাঁরা এলাকার পরিস্থিতি আঁচ করতে চাইছেন। এলাকায় কেউ ভীতি প্রদর্শন করছে কি না, তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা জানতে চাইছেন।