নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
এ ব্যাপারে মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জেলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা ছিল। কিন্তু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করায় তাঁর আসা হয়নি। সেই কারণে আমরা অভিষেকবাবুকে জেলায় সভার জন্য চাইছি। ফলে এটাকে যোগীর পাল্টা সভা বলা উচিত হবে না। তবে গাজোল কলেজ ময়দানের সভা থেকে যোগী আদিত্যনাথ আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলে গিয়েছেন। সেই জায়গা থেকেই অভিষেকবাবু ওই আক্রমণের জবাব দিতে পারেন। আমরা রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত জনসভা হবে বলে আমরা আশাবাদী।
বিজেপির মালদহ জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, এর আগেও তৃণমূল আমাদের পাল্টা সভা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমাদের মতো লোক জড়ো করতে পারেনি। যোগীজির সভার মতো লোক জড়ো করে দেখাক তৃণমূল। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেও মালদহে সেভাবে কোনও দল এখনও সক্রিয় হয়নি। সীমান্তবর্তী এই জেলায় শেষ দুই দফায় ভোট হবে। ফলে শেষ লগ্নে ভোট প্রচার তুঙ্গে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে এখনও কোনও দল বড় সভার কথা ঘোষণা করেনি। তবে যোগী আদিত্যনাথের গাজোলের সভা পূর্বঘোষিত ছিল। উত্তরবঙ্গে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে যোগীকে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের সভা করানোর কথা, ভোট ঘোষণার আগেই জানানো হয়েছিল। সেইমতো মঙ্গলবার সভা হয়। গাজোল কলেজ ময়দানে যোগীর সভায় জনসমাগমও ভাল হয়।
গাজোল ছাড়াও ইংলিশবাজার, মালদহ, হবিবপুর, চাঁচল প্রভৃতি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রচুর লোক ওইদিনের সভায় অংশ নিয়েছিলেন। ওই সভা থেকে যোগী আদিত্যনাথ তৃণমূলকে এক হাত নেন। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আর বাংলাকে উত্তরপ্রদেশের মত করবেন বলেও হুঙ্কার দেন। ওই ঘটনায় তৃণমূল তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ঘাসফুল শিবির যোগীকে কটাক্ষ করে।
এদিকে, গত কয়েক বছরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। দুই দলই সভা, সমিতির মাধ্যমে একে অপরকে টেক্কা দিতে চাইছে। বর্তমানে দুই দলের বড় জনসভার লোক সমাগম নিয়ে রাস্তার মোড় থেকে চায়ের ঠেকে রীতিমতো চর্চা হচ্ছে। জনসভায় লোক জড়ো করে দুই দলও নিজেদের শক্তি জাহির করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলছে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়তে থাকবে বলে রাজনৈতিকমহলের অভিমত। এভাবেই বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই জমে উঠেছে।
জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, গোটা জেলার জনসংখ্যার অনুপাতে মুষ্টিমেয় লোক যে কোনও রাজনৈতিক দলের সভায় অংশ নেন। তবে সংশ্লিষ্ট সভার প্রধান বক্তার ভাষণ বিভিন্ন মাধ্যমে জেলাবাসী শুনে থাকে। বিপক্ষ দল পাল্টা সভা করে উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত সেই ভাষণ মানুষের কানে অনুরণিত হয়। তার প্রভাব যে কোনও দলেরই জনসমর্থনে পড়ে। ফলে যোগীর সভার রেশ কাটার আগেই আমরা বড় কোনও নেতাকে এনে পাল্টা সভা করব। আমাদের দলে বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেকের সভায় সবচেয়ে বেশি লোক হচ্ছে। মানুষ তাঁদের কথাই বেশি করে শুনতে চায়। তাই অভিষেককে আনার তোড়জোড় বাড়ছে।