কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এবার রাজ্যে আটদফায় বিধানসভা ভোট সংগঠিত করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। যারমধ্যে ১০ এপ্রিল হবে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। ওই দিন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার ভোট। সেদিন থেকেই উত্তরবঙ্গের ভোটগ্রহণ পর্বের সূচনা। ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কলিম্পং, ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় উত্তর দিনাজপুর, ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় মালদহ জেলার একাংশ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এবং ২৯ এপ্রিল অষ্টম দফায় মালদহের বাকি অংশে ভোটগ্রহণ হবে। এই নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই দার্জিলিং জেলার পাহাড় ও সমতলের শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর থেকে মালদহ সর্বত্রই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ঘাসফুল শিবির অন্যতম। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা উত্তরবঙ্গে আকাশচুম্বী ফলাফল করেছিল। এখানকার ৫৪টি আসনের মধ্যে অধিকাংশই দখল করেছিল। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ঘাসফুল শিবির ধরাশায়ী হয়। ‘দিদিকে বলো’, ‘জননী সুরক্ষাযাত্রা’, ‘চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি’, ‘বঙ্গধ্বনিযাত্রা’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’ প্রভৃতি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচির মাধ্যমে তারা এখন উজ্জীবিত। ইতিমধ্যে কোচবিহার থেকে মালদহ পর্যন্ত প্রতিটি জেলায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত প্রাক্ নির্বাচনী সভা সেরেছেন। কোথাও প্রশাসনিক, আবার কোথাও কর্মিসভা করেছেন। প্রতিটিতেই জনতার ভিড় উপচে পড়ে। এবার তাঁকে দিয়ে ফের নির্বাচনী জনসভা করানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দলের নেতা-কর্মীরা অনেকদিন ধরেই ভোটের ময়দানে রয়েছেন। এজন্য দেওয়াল দখল করে প্রতীক চিহ্ন আঁকা, নির্বাচনী কার্যালয় খোলা, পাড়া বৈঠক, পথসভা, মিছিল, বাড়ি বাড়ি অভিযান, ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন সহ নানা কর্মসূচি চলছে। এবার দলের রাজ্য নেতা-মন্ত্রী সহ মুখ্যমন্ত্রীকে এনে প্রচারে ঝড় তোলা হবে। দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার বলেন, আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত। এবার শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে সাফ হয়ে যাবে পদ্ম।
অন্যদিকে, গত লোকসভা ভোটে সাফল্য মেলার পর উত্তরবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীদের এনে প্রচার শুরু করেছে। জনসমর্থন ধরে রাখতে পরিবর্তন যাত্রা করেছে। শুধু তাই নয়, বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে। ভোটের ময়দানে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য দলের নির্দেশে ওয়ারেন্ট জারি হওয়া নেতা-কর্মীরা আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন নিচ্ছেন। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা এখানে প্রচারে আসবেন। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, আমরা ভোটের দিকে তাকিয়ে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি।
এদিকে, বাম-কং জোটও ময়দানে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে। লোকসভা ভোটে রামে যাওয়া ভোট উদ্ধার করতে তারা বুথ, ওয়ার্ড ও বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক যৌথ নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে। নির্বাচনী কার্যলয়ও চালু করেছে। যৌথভাবে পথসভা, মিছিল, পাড়া বৈঠক করার পাশাপাশি দেওয়াল লিখনও শুরু করেছে। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত।