কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, প্রশাসন সব কিছু দেখেও জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না। হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার ওই যানজট সমস্যার সমাধানে কার্যত প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। তাদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করুক।
হাসপাতাল সুপার সুরজ সিংহ বলেন, আমি এমাসেই হাসপাতালের দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। যানজট নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে পিডব্লুডি, স্বাস্থ্যদপ্তর, পুরসভা ও মহকুমা শাসকের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু তারপর আর কিছু করা হয়নি। হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকেও ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ওই এলাকা জবরদখলমুক্ত করার বিষয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সপ্তর্ষি নাগ বলেন, আমি শীঘ্রই হাসপাতাল পরিদর্শনে যাব। সেসময় বিষয়টি দেখে নেব। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
ইসলামপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, যখন কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ আসে, আমরা পুলিস-প্রশাসনকে জানাই। অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় সরকারি জমি দখল করে চা, পানের দোকান, হোটেল সহ বিভিন্ন দোকান গজিয়ে উঠেছে। এর ফলে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। সন্ধ্যার দিকে দোকানগুলিতে স্থানীয়রা চা খেতে এসে দীর্ঘসময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করেন। কার্যত ওই স্থান আড্ডার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এতে যানজট তৈরি হয়।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রসূতি ও শিশুর চিকিৎসা হয়। চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া সহ বিভিন্ন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জটিল সমস্যা হলে এখানে রোগীকে রেফার করা হয়। সেই সঙ্গে স্থানীয় রোগীর চাপ আছে। ফলে প্রতিদিন এখানে অনেক রোগী ও তার সঙ্গে পরিবারের লোকেরা আসেন। ফলে হাসপাতাল এলাকার এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা যানজটমুক্ত রাখা খুবই জরুরি। পাশাপাশি সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ হয়েছে। দিন দিন এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, ওই এলাকায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের জমি পড়ে আছে। কোনও সময় এই জমিতে নির্মাণকাজ করার কিংবা রাস্তা চওড়া করার প্রয়োজন হলে দোকানগুলি ভাঙতে হবে। সেসময় তাদের উচ্ছেদের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। ফলে প্রশাসনকে এখন থেকেই পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে।