ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
উদয়নবাবু বলেন, এর আগে জল সরবরাহের জন্য যে ব্যবস্থা ছিল তাতে প্রেসার কম থাকার কারণে সমস্ত বাড়িতে আমরা পানীয় জলের সংযোগ দিতে পারছিলাম না। এরপর বিষয়টি জানিয়ে পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই খাতে এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তার মধ্যে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। এরপর জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মাধ্যমে শহরের তিনটি জায়গায় তিনটি নতুন পাম্প বসানো হয়। কিন্তু ওই টাকায় সবটা হবে না। ডিপিআর তৈরির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ছিল। এই পরিস্থিতিতে আমরা মেকানিক্যাল বিভাগকে বলেছি কাজ করতে। যদি বাকি টাকা সরকার থেকে পাওয়া যায় তাহলে ভালো। না হলে পুরসভা থেকে দেওয়া হবে। ওরা কাজ করছে। এবার বিদ্যুৎ সংযোগের টাকাও দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে সাত দিনের মধ্যে পাম্প চললেই শহরের সমস্ত বাড়িতে জল পরিষেবা দেওয়া যাবে।
দিনহাটা কলেজ, যোগেশ সাহা স্কুল ও ঝুড়িপাড়ায় এই তিনটি পাম্প বসান হয়েছে। এই পাম্পগুলি থেকেই ইচ্ছুক বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনো হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য টাকা জমা নেওয়া হবে বলেও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে একটি মাত্র পাম্প দিয়ে দিনহাটা পুরসভার সমস্ত বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। ওই একটি মাত্র পাম্প দিয়ে অনেক জায়গায় জল যেমন পৌঁছতো না তেমনি সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব ছিল না। সেই কারণে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের নতুন সংযোগ দেওয়ার কাজ গত ছ’মাস ধরে পুরসভা বন্ধ রেখেছিল। এখন সেটা সম্ভব হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে পুরসভা এলাকার মাত্র হাজার খানেক বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছতো। এখন পুরসভা এলাকায় ১৩ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। নতুন তিনটি পাম্প হওয়ায় পুরসভা এলাকার ইচ্ছুক সকল বাসিন্দাকেই পানীয় জল সরবরাহ করতে পারবে।
উদয়নবাবু আরও বলেন, আমরা নোটিস দেব, যাঁরা আবেদন করে রেখেছেন তাঁরা টাকা জমা দিন। আমরা সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করব।