ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, এদিন ইউপিএইচসি ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শহরের মাতৃমঙ্গলটি সেই নতুন ভবনে স্থনান্তর করা হচ্ছে। এই মাতৃমঙ্গল থেকে যে সমস্ত টিকাকরণ কর্মসূচি এতদিন পালন করা হতো, সেসব পরিষেবা এখন থেকে ইউপিএইচসি থেকে পাওয়া যাবে। পরে ওপিডি ও প্যাথলজি ল্যাবও চালু হয়ে যাবে। ন্যাশনাল আরবান হেল্থ মিশন থেকে এটি করা হয়েছে। ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবনটি তৈরি হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে আসবাবপত্রের জন্য শীঘ্রই ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হবে।
গোলাম রব্বানি তাঁর ভাষণে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে চিন্তা করেন। তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে অনেকগুলি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ তৈরী করেছেন। ইসলামপুরেও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ইসলামপুর শহরে পুরসভা পরিচালিত কোনও হাসপাতাল নেই। মাতৃমঙ্গলে শুধু টীকাকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এবার ওই ইউপিএইচসি চালু হওয়াতে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবায় আরও কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে। এতে ইসলামপুরের বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া বইছে।
ইসলামপুর শহরে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা বলতে মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আছে। মহকুমা হাসপাতালে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রসূতি ও সদ্যোজাত শিশুদের চিকিৎসা বিভাগ আছে। চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘির পাশাপাশি প্রতিবেশী বিহার রাজ্য থেকেও প্রচুর রোগী চিকিৎসা করাতে ইসলামপুর শহরে আসেন। ফলে এখানকার হাসপাতালগুলির উপর প্রচুর চাপ পড়ে। প্রতিদিন আউটডোরে প্রচুর রোগীর ভিড় হয়। শহরের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন থেকেই পুরসভার নিজস্ব স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবি তুলেছিলেন। এবার ইউপিএইচসি চালু হওয়াতে অনেকেই সেখানে চিকিৎসা করাতে পারবেন। এতে সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরসভা দুই বছরও বেশি সময় আগে এই ইউপিএইচসি চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল। এত দিনে তার উদ্বোধন হল। বাকি বিভাগগুলি কবে চালু হবে, তাও কেউ বলতে পারছেন না। স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি কর্তৃপক্ষকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।