বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
অসমের পরিস্থিতির জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে সঙ্গে নিয়ে কুমারগ্রামের বারোবিশায় পাকড়িগুড়িতে আন্তঃরাজ্য সীমান্ত ঘুরে দেখেন আইজি (বর্ডার)। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে কুমারগ্রামে আন্তঃরাজ্য সীমান্তের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আইজি (বর্ডার) সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। পুলিস সুপার বলেন, অসমের পরিস্থিতির জেরে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অসমের পরিস্থিতির জেরে সীমান্তে আটকে রয়েছে শত শত লরি। লরির চালকরা বারোবিশাতে রাস্তাতেই রান্না করে কয়েকদিন ধরে খাচ্ছেন। দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তারজন্য ভিনরাজ্যের চালকদের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ রাখছে বারোবিশা আউটপোস্ট ও কুমারগ্রাম থানার পুলিস।
লুধিয়ানার লরি চালক অনুজ তেওয়ারি বলেন, অসমে যে ধরনের গণ্ডগোল হচ্ছে তাতে আমরা অসমে ঢুকতে ভয় পাচ্ছি। তাই বাংলার মাটিকেই নিরাপদ ভেবে এখানেই আছি।
পানিপথ থেকে আসা লরি চালক কর্তার সিং বলেন, এভাবে দিনের পর দিন পড়ে থাকায় টাকা পয়সায় যাতে টান না পড়ে তারজন্য নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছি। এখানে বাংলার পুলিসও আমাদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে অত্যাবশকীয় পণ্য নষ্ট হওয়া শুরু হয়েছে বলে চালকরা জানিয়েছেন।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে অসম থেকে শরণার্থী হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে কুমারগ্রাম বা আলিপুরদুয়ারে কেউ আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আসছে কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর ও প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ। অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব সাফ জানিয়েছে, বাংলার ঐতিহ্য শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া। অসম থেকে কেউ কুমারগ্রাম বা আলিপুরদুয়ারে এলে শিবির করে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের শীলা দাস সরকার বলেন, অসম থেকে আলিপুরদুয়ারে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে কেউ আসছে কি না তার খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। অসম থেকে শরণার্থী হয়ে কেউ এলে তাঁদের থাকার জন্য কুমারগ্রামের পরিত্যক্ত ফ্লাড শেল্টারগুলিতে ব্যবস্থা করা হতে পারে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শরণার্থীদের দুধেভাতে রাখতে হবে। এটাই বাংলার ঐতিহ্য। অসমের কেউ এলে দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।