বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
সেচদপ্তর এবং কালিয়াচক-২, ৩, মানিকচক, রতুয়া সহ নদীর তীরবর্তী ব্লকের প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। টিম পাঠিয়ে নদীগুলিতে নজরদারি রাখা হচ্ছে। এদিকে রাতভর বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ এবং ২ ব্লকের একাধিক রাস্তার ধারের ধস নেমেছে।
মালদহের সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে জেলার নদীগুলিতে জল বাড়ছে। গঙ্গা, মহানন্দার তুলনায় ফুলহারের জল বেশি বেড়েছে। রবিবার সকাল ৬টায় ফুলহার প্রাথমিক বিপদসীমা পার করে। আমরা জলের স্তর বৃদ্ধির দিকে নজর রাখছি। গঙ্গায় এদিন কোথাও ভাঙনের খবর আসেনি।
রতুয়া-১’র বিডিও সঞ্জীব ঘোষ বলেন, মহানন্দাটোলা, বিলাইমারিতে ফুলহার নদী তীরবর্তী গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি আমরা নজর রাখছি। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা জেলার সঙ্গে এনিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখিছি। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। নদীর জল বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমাদের টিম নদী তীরবর্তী ও সংরক্ষিত এলাকায় নজরদারি রাখছে।
রতুয়ার বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লুৎফর রহমান বলেন, ফুলহার নদীর জল অনেকটা বেড়েছে। এতে নদী তীরবর্তী অরক্ষিত এলাকার চাষের জমি প্লাবিত হয়েছে। বহু পাটের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। বাড়িঘরে এখনও জল না ঢুকলেও যেহারে নদীর জল বাড়ছে তা ক্রমশই উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছচ্ছে। আমরা পঞ্চায়েত থেকে নৌকো প্রস্তুত রেখেছি। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
কালিয়াচক-২’র বিডিও সঞ্জয় ঘিসিং বলেন, গঙ্গার জল সামান্য বেড়েছে। পঞ্চনন্দপুর সহ আশেপাশের এলাকায় ভাঙনের কোনও খবর নেই।
জেলা সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গার মানিকচক ঘাটে এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জলস্তর ছিল ২২.৪০ মিটার। ফুলহারের জলস্তর ওই সময়ে প্রাথমিক বিপদসীমা ২৭ মিটারে পৌঁছে যায়। ইংলিশবাজারে মহানন্দায় জলস্তর গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই বেড়েছে। শনিবারে মহানন্দার জলের স্তর ছিল ১৬.৯৫ মিটার। রবিবার সকাল ৬টা তা ছিল ১৭.২০ মিটার। সেচদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩০.৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে জেলাজুড়েই বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ে। রাতে প্রবল বৃষ্টির কারণে ইংলিশবাজার, পুরাতন মালদহ, রতুয়া, গাজোল, চাঁচল সহ বেশকিছু এলাকার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার প্রকৃতচিত্র সামনে আসে। ইংলিশবাজারে সারদাপল্লি, সর্বমঙ্গলাপল্লি, পুরাতন মালদহের গান্ধীকলোনি, খইখাট্টা, মঙ্গলবাড়ির পাথরপাড়া বাঁধের উপর জল জমে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। চাঁচল ব্লক সদরের ২৩টি গ্রাম সংসদ এলাকায় জল জমে থাকে। সামসি রেলস্টেশন, গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে জল জমে থাকে। ভগবানপুরে আন্ডারপাসে হাঁটু পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে থাকে। রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের মোহনপুর, উদয়পুর, সোনাপুর, মাশালদহ, সুলতাননগর সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ধস নামে।