বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন বিপ্লববাবু বলেন, আমি তৃণমূলের নেত্রীর তুঘলকি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের ফলে দল ছেড়েছি। আর নরেন্দ্র মোদির কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি স্বেচ্ছায় বিজেপিতে যোগদান করেছি। জেলায় আমি মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে দলকে তৈরি করেছি। আমি জেলায় আশায় আগামী দিনে দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন কর্মীরা। তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি রাজনীতি বা দল সম্পর্কে কিছু বোঝেন না, জানেন না। আমিই তাঁকে ২০১৪ সালে জিতিয়ে পার্লামেন্টে পাঠিয়েছিলাম। জেলাবাসীর কাছে তিনি নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারেননি। আর পারবেনও না। বিজেপি রাজ্য সভাপতি আমাকে উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। তার অফিসিয়ালি চিঠি আমি পেয়ে যাব। কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে তা আমি কয়েক দিনের মধ্যেই তা পেয়ে যাব। তারপর জেলাজুড়ে বিজেপির সংগঠন বাড়াতে কাজ করব।
এদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন আমি কোন বিজেপি নেতা কী বলল তাতে কোনও মন্তব্য করি না। আমি তৃণমূল দল করি। তুচ্ছ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেব না।
দিল্লিতে দলবদল করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন জেলায় ফিরে গঙ্গারামপুরে পৌঁছতেই উষ্ণ অভিনন্দন পেলেন বিপ্লববাবু সহ তাঁর অনুগামীরা। জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিপ্লববাবু মিত্র ২৪ জুন দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তর গিয়ে সেই দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি গতকাল সন্ধ্যায় বাগডোগরায় নেমে শিলিগুড়িতে থাকেন। শনিবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বিরাট কনভয় নিয়ে জেলায় ঢোকেন বিপ্লববাবু। তাঁদের স্বাগত জানাতে কুশুমণ্ডিতে জেলা বিজেপির তরফে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। সেই মঞ্চে জেলা বিজেপির সভাপতি সহ অনান্য নেতা নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। কুশমণ্ডি থেকে রওনা দিয়ে গঙ্গারামপুরের পথে বুনিয়াদপুর কোর্ট মোড়ে কয়েকজন গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। গঙ্গারামপুরে তিনি পা রাখতেই অনুগামীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বাজি পটকা ফাটানো হয়। স্লোগান ওঠে ‘‘কৌন আয়া, শের আয়া’’।