বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বাগডোগরা থানার ওসি দীপঙ্কর গোস্বামী বলেন, ধৃত দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তঃরাজ্য গাড়ি চোরাচালান চক্রে যুক্ত কিছু নতুন নাম ও তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দু’দিনের হেফাজতের শেষে শনিবার ধৃতকে আদালতে তুলে ফের পাঁচ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাবে। এতে আন্তঃরাজ্য চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো অনেকটাই সহজতর হবে।
২ জুলাই বিকালে বাগডোগরা থানার এয়ারপোর্ট মোড় থেকে একটি বোলেরো পিক-আপ ভ্যান চুরি যায়। পরদিন অর্থাৎ বুধবার সেই গাড়ি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন গাড়ির মালিক। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ওইদিন রাতেই বাগডোগরার গোসাঁইপুরের বাসিন্দা শিষ কুমার রায়কে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুক্রবার বাগডোগরা থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া বোলেরো পিকআপ ভ্যানটি। দুই দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার ফের ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলে। বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত শিষ কুমার আপার বাগডোগরার গোসাঁইপুরের বাসিন্দা। সে মূলত পণ্যবাহী গাড়ির চালক। সেই সূত্রেই সম্প্রতি সে ওই আন্তঃরাজ্য চোরাচালান চক্রে ভিড়ে যায়। এরপর শুরু হয় গাড়ি চুরির কাজ। সে শিলিগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকা থেকে গাড়ি চুরি করে পুলিসি নজর এড়িয়ে উত্তর দিনাজপুরে নিয়ে যেত। সেক্ষেত্রে কোনও কোনও সময় গাড়ির আসল নম্বর প্লেট বদল করে নেওয়া হতো। উত্তর দিনাজপুরে গাড়ি পৌঁছতেই তাতে ভেজাল মদ ও গাঁজা বোঝাই করে তা ক্যারিয়ার দিয়ে বিহার সহ অন্যান্য রাজ্যে পাঠানো হতো। তবে ক্যারিয়াররাও জানত না ওই গাড়ি বা গাঁজার গন্তব্য কোথায়? সেক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে মূলত গাড়ি চালক বা গ্যারেজ মেকানিকদের ব্যবহার করত পাচারকারী দলের মাথারা। তবে তথ্য ফাঁস সহ পুলিসি নজর এড়াতে প্রতিবারই বদল করা হতো ক্যারিয়ারদের। এজন্য তাদের মোটা টাকা দেওয়া হতো।