বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দুই দিনাজপুরেরই বাসিন্দাদের অনেকে বলেন, উত্তর দিনাজপুরের বিশেষ করে রায়গঞ্জের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কোনও প্রকল্প বা নতুন ট্রেন কিছুই বাজেটে ঘোষণা হয়নি। গত পাঁচ বছরেও বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ছিল। সে সময়ও রায়গঞ্জবাসীর দাবি মেনে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। আবার বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, বিজেপি সরকার সবেমাত্র ক্ষমতায় এসেছে। অল্প সময়ের মধ্যে এতকিছু বাজেটের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দিনাজপুরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলেই মনে করেন তাঁরা। ওয়েস্ট দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক শংকর কুণ্ডু বলেন, দিনাজপুরের রেল যোগাযোগ নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে যেসব প্রস্তাব দিয়েছি আশা করি সেগুলি বাস্তবায়িত হবে। তবে এবারের বাজেটে সেগুলির উল্লেখ নেই। আমরা ফের প্রস্তাব পাঠাব। আমাদের সাংসদ এব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করবেন বলেই আশা রাখি।
রায়গঞ্জের সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, উত্তর দিনাজপুর জেলার মানুষ এই বাজেটে মোটেও হতাশ নয়। আমি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়িত করার জন্য সব চেষ্টা চালাচ্ছি। মানুষ আমাকে পাঁচ বছর সময় দিয়েছেন। আমি সব প্রস্তাব বাস্তবায়িত করব। সাধারণ মানুষের আমার উপর ভরসা রয়েছে। এনিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
অন্যদিকে, রেলপ্রকল্প ঘোষণার ব্যাপারে বালুরঘাটের সংসদ সদস্য বিজেপি’র সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাজেটের কিছুদিন আগেই আমি ও দেবশ্রীদি রেল যোগাযোগের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রেলমন্ত্রীকে দিয়েছি। আধিকারিকরা সেগুলি নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে মন্ত্রক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমাদের সরকার ধাপে ধাপে আমাদের দেওয়া সমস্ত প্রস্তাবই বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। বালুরঘাট-হাওড়া এক্সপ্রেস নিয়মিত চলাচল করানো, দিল্লিগামী ফরাক্কা এক্সপ্রেসকে বালুরঘাট পর্যন্ত এক্সটেনশন করা, বালুরঘাট-হিলি রেলপথ নির্মাণ, বালুরঘাট-একলাখি রেলপথ ডবল লাইনে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব আমি দিয়েছি।
যদিও উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস নেতা পবিত্র চন্দ বলেন, উত্তর দিনাজপুরের উন্নয়ন নিয়ে একমাত্র প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে দীপা দাশমুন্সি সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে সিপিএমের সাংসদ এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার এখানকার উন্নতি নিয়ে একেবারেই ভাবিত নয়। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণেই আমাদের এখানে এইমসের মতো হাসপাতাল গড়ে উঠতে পারল না। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট এককথায় হতাশাজনক। উত্তর দিনাজপুর তথা উত্তরবঙ্গের জন্যে কোনও প্রকল্পই ঘোষণা হয়নি।