বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ বিভাগের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী বলেন, হাতির গতিবিধি জানতে উত্তরবঙ্গে প্রথম গোরুমারা বনাঞ্চল সংলগ্ন বস্তিতে পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা অটোমেটেড এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং ডিভাইস বসালাম। আধুনিক এই ডিভাইসে কাজ হলে আমরা পরবর্তীতে তা অন্যান্য জায়গায়ও বসাব।
গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, এটা আমাদের একটা পাইলট প্রজেক্ট। এতে সাফল্য এলে আমরা বিভিন্ন বনবস্তি এলাকায় ডিভাইসটি বসাব। এদিন আমাদের পরীক্ষা সফল হয়েছে। একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থা আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা আমাদের চারটি নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়েছে।
অটোমেটেড এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং ডিভাইসের ৫০০ মিটারের মধ্যে হাতি এলে তা থেকে সাইরেন বাজতে থাকবে। ওই ডিভাইসের একটি পার্ট বনদপ্তরের কাছাকাছি বিট অফিসে থাকবে। সেখানে এলার্ম বাজবে। এতে বনবস্তিবাসীরা একদিকে যেমন সতর্ক হয়ে যাবেন তেমনি বনকর্মীরা সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আধুনিক ওই ডিভাইস থেকে তরঙ্গ বের হবে যা হাতিকেও সতর্ক করবে।
এদিন কালীপুরের বাসিন্দাদের ডিভাইস সম্পর্কে জানানো হয়। বনদপ্তরের পোষা হাতি মোতিরানি ও তিস্তাকে দিয়ে গোটা বিষয়টি পরীক্ষা করে গ্রামবাসীদের সামনে তুলে ধরা হয়। ডিভাইস যে কাজ করছে তাও দেখা হয়। বন সংলগ্ন জমিতে ধান, ভুট্টা সহ বিভিন্ন ফসল চাষবাস হওয়ায় প্রায়ই শস্য খেতে হাতির পাল গ্রামে চলে আসছে। এতে হাতি-মানুষের সংঘাত বেড়েই চলছে। আতঙ্কে মানুষ হাতির উপর হামলা করছে। তখন হাতি পাল্টা আক্রমণ হানছে। তাতে সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি প্রাণহানিও ঘটছে। হাতি ও মানুষের সংঘাত কমাতেই বনদপ্তরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিচ্ছে। কখনও ইলেক্ট্রিক ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে, কখনও গ্রামবাসীদের হাতে বাজি, পটকা, সার্চ লাইট তুলে দিচ্ছে। কিন্তু হাতি এর পরেও লোকালয়ে চলে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হাতি-মানুষের সংঘাত এমন জায়গায় পৌঁছেছে বনদপ্তরের কাছে তা রীতিমত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বনদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত হাতির আক্রমণে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গলে জ্বালানির সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক সময়ে বস্তিবাসীরা হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন। অনেক সময়ে আবার গ্রামে ফসল খেতে ঢুকে যাওয়া হাতির মুখোমুখী হয়ে গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। গত মে মাসে জলদাপাড়া ও খুট্টিমারির জঙ্গলে হাতির আক্রমণে দু’জনের মৃত্যু হয়।