বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এবিভিপির দাবি, টিএমসিপি’রই সমর্থক কলেজের বহিরাগতরা ওই হামলা চালিয়েছে। মিথ্যা মামলায় এবিভিপির সমর্থকদের ফাঁসানোর জন্য হামলার নাটক করছে টিএমসিপি। কোচবিহার জেলা টিএমসিপি কার্যকরী সভাপতি সায়নদ্বীপ গোস্বামী বলেন, গতকাল রাতে এবিভিপির গুণ্ডারা কলেজ ছাত্রী রিয়া নন্দীর বাড়ি ভাঙচুর করে। তার বাবাকে মারধর করা হয়। রিয়ার বাবা হাসপাতালে ভর্তি। এবিভিপির ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা মিছিল করেছি। বহিরাগত প্রবেশ করিয়ে কলেজের পড়াশুনার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবিভিপি। তারই প্রতিবাদ করা হচ্ছে। এবিভিপি কোচবিহার জেলা সভাপতি অনিরুদ্ধ দে সরকার বলেন, এবিভিপি অরাজনৈতিক সংগঠন। ছাত্ররাই এই সংগঠনের সদস্য। আমরা কারও বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করিনি। আমাদের সদস্য, সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেটা করতেই বাড়ি ভাঙচুরের নাটক করে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি কোচবিহার শহরের কলেজগুলিতে এবিভিপি সংগঠন খুলে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। শহরের প্রায় প্রতিটি কলেজে তারা নানা কর্মসূচি নিয়েছে। এরপরেই শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধতে থাকে। কোচবিহার কলেজে দুই সংগঠনের ছাত্ররা প্রায়ই মিছিল, পাল্টা মিছিল করছে। গতকাল দু’জন এবিভিপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। তারই পাল্টা ওই কলেজে টিএমসিপি নেত্রী রিয়া নন্দীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিএমসিপির দাবি, গতকাল রাতে এবিভিপির দুষ্কৃতীরা রিয়ার বাড়িতে হামলা করে। বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাও ছোঁড়া হয়। বাড়িতে থাকা সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। রিয়াকে বাঁচাতে এসে তাঁর বাবাও দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় শহরে ছাত্র রাজনীতি গরম হতে শুরু করেছে। এবিভিপির কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার ধিক্কার মিছিল বের হয় কোচবিহার শহরে। এবিভিপি কলেজে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় স্মারকলিপিও দেয় তারা। যদিও এবিভিপির দাবি, টিএমসিপি’ই কলেজে বহিরাগত এনে তাদের সদস্যদের মারধর করছে। তাদের দুই সদস্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এবিভিপির সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতেই হামলার নাটক করা হচ্ছে।