বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
শেখ হাসিনা পরবর্তী জমানায় এদিনই ছিল প্রথম ভাষা দিবস। তাই সাধারণ মানুষ কতটা উত্সাহ নিয়ে রাস্তায় নামে, সেদিকেই নজর ছিল সকলের। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে গত বছরের হাসিনা বিরোধী ‘জুলাই বিপ্লব’-কে মিলিয়ে দিতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছিল ইউনুস সরকার। কিন্তু তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। বাংলাদেশজুড়ে এদিন দেখা যায়নি সেই চেনা ‘উদ্দীপনা’। তবে তার থেকেও বেশি তাল কাটে কুমিল্লার ঘটনা।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম গুণবতী ডিগ্রি কলেজ চত্বরে রয়েছে একটি ভাষা শহিদ মিনার। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে কলেজের শিক্ষকরা সেখানে শ্রদ্ধা জানান। তারপর আসেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। সাড়ে ১২টা নাগাদ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সকলে চলে যান। এরপরে সেখানে কট্টরপন্থীরা হামলা চালায় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কারা সেখানে গিয়েছিল, সেব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চায়নি। শুধু কলেজের নৈশপ্রহরী বলেছেন, ‘অনুষ্ঠানের বেশ কিছুক্ষণ পরে হঠাত্ বিকট শব্দ হয়। আশপাশে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও কিছু বুঝতে পারিনি। পরে শহিদ মিনারে গিয়ে দেখি দু’টি স্তম্ভ ভেঙে পড়ে আছে।’ স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুল হুদার বক্তব্য, ‘একুশ আমাদের চেতনা। যারা গুণবতী শহিদ মিনার ভেঙে দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারেও এবার প্রতি বছরের মতো মানুষের ঢল নামতে দেখা যায়নি। এর মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের বিরুদ্ধে শিষ্টাচার ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। এবার সেখানে আলাদা আলাদা সময়ে আসেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুস। একবারের জন্যও মুখোমুখি হননি দু’জনে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেননি অন্য উপদেষ্টা বা সেনার তিন বাহিনীর প্রধানদের কেউই।
এর মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। বিজয়নগর উপজেলা শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়ার দলের দু’টি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। তাতে দু’জন আহত হয়েছেন। শুধু দেশে নয়, সুদূর লন্ডনের আলতাব আলি পার্কের শহিদ মিনারে ঝামেলায় জড়িয়েছে আওয়ামি লিগ ও বিএনপি সমর্থকরা। তবে পুলিস থাকায় উত্তেজনা বড় আকার নেয়নি।