একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
অ্যাস্ট্রাজেনেকা এই ভ্যাকসিনের ‘বিক্রির অনুমোদন’ প্রত্যাহার করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে এর ব্যবহার এখন বেআইনি। জানা গিয়েছে, বাজার থেকে টিকাটি তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয় ৫ মার্চ। ৭ মে (মঙ্গলবার) থেকে তা কার্যকর হয়েছে। ব্রিটেন ও ইউরোপের বাজার থেকেও এই ভ্যাকসিন তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, টিটিএস-এর কারণে ব্রিটেনে অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এবিষয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ যোগীরাজ রায়ের বক্তব্য, ‘করোনা ভ্যাকসিনের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না জানার জন্য দেশজুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এসএসকেএম হাসপাতালও তাতে অংশ নিয়েছিল। দেখা গিয়েছে, প্রত্যক্ষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তাই, আমার মনে হয় না পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এটি তুলে নিল। আসলে বাজারে চাহিদার অভাবই এই সিদ্ধান্তের কারণ।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকা লন্ডনের আদালতে গত ফেব্রুয়ারিতেই ভ্যাকসিনটির প্রভাবে রক্ত জমাট বাধার মতো বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নেয়। এই নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ভারতে তড়িঘড়ি কোভিড ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। যদিও সরকারের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধির কারণেই এই পদক্ষেপ। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, বিশ্বে কোভিড মহামারী মোকাবিলায় ওই ভ্যাকসিনের ভূমিকা নিয়ে তারা অত্যন্ত গর্বিত। এই টিকার মাধ্যমে প্রথম বছরেই ৬০ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। সারা বিশ্বে ৩০০ কোটিরও বেশি ডোজ তারা সরবরাহ করেছে। বুধবারই সিরাম সংস্থা জানিয়েছে, তাদের কোভিশিল্ড টিকার প্যাকেজিংয়ে টিটিএস সহ বিরল থেকে বিরলতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।