কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
সম্প্রতি সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীদের এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই বায়ু থেকে জল তৈরির কথা জানিয়েছেন অধ্যাপক হো ঘিম উইয়ের নেতৃত্বাধীন দল। গবেষকদের দাবি, এই জল পানেরও যোগ্য। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডতেও পাশ করেছে। বাজারে বিক্রি হওয়া প্যাকেট বা বোতলের জলের সঙ্গেও এই জল সমানে সমানে টেক্কা দিতেও পারবে।
কিন্তু কীভাবে বায়ু থেকে তৈরি হবে জল? গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ‘সিম্পল’। ব্যবহার করা হয়েছে একটি হালকা ‘স্মার্ট’ এয়ারোজেল। সেটি পলিমার দিয়ে তৈরি। দেখতে অনেকটা স্পঞ্জের মতো। এটিকে চালাতে ব্যাটারি কিংবা সামান্যতম বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়ে না। এই এয়ারোজেলই বাতাস থেকে জল শুষে নেবে। আবার সেই জল পাওয়ার জন্য এটিকে নিংড়োনোরও দরকার নেই। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রতি কেজি এয়ারোজেল থেকে ১৭ লিটার জল তৈরি করা সম্ভব। এটি বাতাস থেকে জলের অনুকে শুষে এক জায়গায় নিয়ে আসে। তারপর তাকে তরলে পরিণত করে।
তীব্র গরমের সময় জলের জন্য হাহাকার পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তা নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন সিঙ্গাপুরের গবেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, গরমের দিনে আরও দ্রুত কাজ করে এই এয়ারোজেল। এটি ৯৫ শতাংশ জলীয়বাষ্পকে তরলে পরিণত করতে সক্ষম। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার সময় টানা একমাস বায়ু থেকে জল তৈরি করেছে এটি।
গবেষকদের মতে, এর আগেও বায়ু থেকে জল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, সেক্ষেত্রে সূর্যের আলো, বিদ্যুৎ সহ একগুচ্ছ উপাদান থাকা জরুরি ছিল। কিন্তু, পলিমার দিয়ে তৈরি ‘স্মার্ট’ এয়ারোজেলে তেমন কোনও ঝঞ্ঝাট নেই। অধ্যাপক উইয়ের কথায়, এই আবিষ্কারের ফলে যে কোনও আবহাওয়ায় পানীয় জল তৈরি করা সম্ভব। এর ফলে অত্যন্ত কম খরচে বড় সমস্যার সমাধান হতে পারে। তাহলে কী এবার বাণিজ্যিকভাবেও এই জলের ব্যবহার শুরু হবে? ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। খেলা এবং সারভাইভাল কিটে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।