কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘আমেরিকা ইউনাইটেড।’ তবে অন্যবারের তুলনায় এবারের অনুষ্ঠানের জৌলুস ছিল অনেকটাই কম। করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে মাত্র এক হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ঘোষণা মতোই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের ডেপুটি প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। অনুপস্থিত থাকলেও বিদায়বেলায় নতুন প্রশাসনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ট্রাম্প। ভাবী প্রশাসনের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। যদিও বিদায়ী বক্তৃতায় একবারের জন্যও বাইডেনের নাম মুখে আনেননি তিনি। বরং দেশের একতা, অখণ্ডতার বুলি আওড়েছেন ট্রাম্প। এখনও পর্যন্ত মার্কিন নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়া নিয়ে কোনও বার্তা দেননি তিনি। তবে দেওয়াল লিখন মেনেই সুর নরম করেছেন ৭৪ বছরের ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা সবাই মিলে যা অর্জন করেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।’
শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। ক্যাপিটল হিল হামলার কথা স্মরণ করে আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। মোতায়েন করা হয় ২৫ হাজারের বেশি ন্যাশনাল গার্ড। পুরো এলাকা দু’লক্ষ পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়। সাধারণত শপথ অনুষ্ঠানে বহু মানুষ ভিড় জমান। এবার করোনার আবহে সেই সব সম্ভব হয়নি। পতাকাগুলি তাঁদেরই প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব করছে।
বুধবার ভারতীয় সময় সাড়ে আটটা থেকে শপথ অনুষ্ঠানের লাইভ স্ট্রিমিং শুরু হয়। পুরো অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিল প্রেসিডেন্ট ইনঅগারল কমিটি (পিআইসি)। অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন বিখ্যাত ঘোষক কেকে পালমের। চিরাচরিত প্রথায় ইউএস ক্যাপিটলের ওয়েস্ট ফ্রন্টে বাইডেনকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। অন্যদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সতোমেয়র। ৯০ মিনিট ধরে চলে বিনোদন অনুষ্ঠান। পরিচালনা করেন বিশিষ্ট অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস। দেখা গিয়েছে বিনোদন জগতের নক্ষত্রদের। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন লেডি গাগা। সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশ নেন জেনিফার লোপেজও।
এদিন, শপথ গ্রহণের পরেই নতুন অভিবাসন নীতির খসড়া অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে পাঠান বাইডেন। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের আমলের দেশভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছে। দক্ষ কর্মীরাই এবার গ্রিন কার্ডের সুযোগ পাবেন। এর ফলে উপকৃত হবেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা।