বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
তবে আপাতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও, খুব শীঘ্রই তা বহুগুণ বাড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা অভিজ্ঞ মহলের। তাদের মতে, সংক্রমণ ঠেকাতে খুব দরকার ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে বেড়তে বারণ করেছে প্রশাসন। কিন্তু, সে কথা কেউ শুনছেনই না। তাঁদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ঘরে ফেরাতে কালঘাম ছুটছে নিরাপত্তারক্ষীদের। এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিটি জেলেই অনেক বেশি সংখ্যক বন্দি রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের একটা অংশকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ, সিন্ধ এবং লাহোর হাইকোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। ফলে জেলগুলিতে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ পাঞ্জাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার জন্য ক্লোরাকুইন এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ভালোই ফল মিলেছে। অন্যদিকে, করোনা রোগীদের যথাযথ চিকিত্সা দিতে তত্পর ইমরান খান সরকার। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রেলও। কমপক্ষে ৩০টি রেল কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির জন্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে, গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলির পাশাপাশি কিছু হোটেলে সম্ভাব্য আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ইয়াসমিন রসিদ নিজেই সমস্ত বিষয় তদারকি করেছেন।
সংক্রমণ যখন লাফিয়ে বাড়ছে, তখন পাকিস্তানে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে পরিস্থিতি যে দিকেই যাক না কেন, পুরোপুরি লকডাউনের পথে যেতে রাজি নন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশজুড়ে পুরোপুরি লকডাউনের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি পরোক্ষে ভারতকে কটাক্ষ করেছেন। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ লকডাউন করায় প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। এখন উভয় সঙ্কটে পড়েছে ভারত। লকডাউন তুলে নিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার লকডাউন চলতে থাকলে অনাহারে মানুষের মৃত্যু হবে।’
লকডাউন ইস্যুতে ভারতকে বিঁধলেও চীনের প্রশংসা করেন ইমরান। তাঁর কথায়, ‘আমরা যদি চীনের মতো হতাম, তাহলে গোটা দেশ তালাবন্ধ করে দিতাম। আমাদের দেশে ২৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ এই সীমার উপর বসবাস করেন। এই পরিস্থিতি পুরোপুরি লকডাউন করে দিলে প্রায় ৮ কোটি মানুষ দারিদ্রের মধ্যে পড়েবেন। ফলে লকডাউন কোনও সমাধান নয়।’