একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
কংগ্রেস বলেছে, বিজেপির ‘নারীবিরোধী মনোভাব’ বিধুরির মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত পদ্মশিবিরকে আক্রমণ করে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বিজেপি অত্যন্ত নারী বিদ্বেষী। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে রমেশ বিধুরির মন্তব্য শুধু লজ্জাজনকই নয়, এতে তাঁর জঘন্য মানসিকতার প্রতিফলনও ঘটেছে। যে ব্যক্তি সাংসদ থাকাকালীন অন্য সাংসদকে গালিগালাজ করেন, তাঁর কাছ থেকে আর কী আশা করা যেতে পারে?’ বিজেপি নেতৃত্বকে প্রিয়াঙ্কার কাছে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিয়া। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে লোকসভায় প্রাক্তন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির উদ্দেশে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছিলেন বিধুরি। ওই মন্তব্য নিয়ে সেই সময় ব্যাপক সমালোচনা হলেও বিধুরির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিজেপি বিষয়টিকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে আখ্যা দিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলে। আর এক কংগ্রেস নেতা পবন খেড়ার দাবি, বিধুরির মন্তব্যে আরএসএসের ভাবাদর্শই ফুটে উঠেছে।
শুধু কংগ্রেস নয়, বিধুরির মন্তব্যের সমালোচনা করেছে আম আদমি পার্টিও। দলের সাংসদ সঞ্জয় সিং এই মন্তব্যকে ‘সস্তা ও লজ্জাজনক’ বলে দাবি করে মহিলাদের প্রতি বিজেপির মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘বিজেপি এমন একজনকে ভোটে টিকিট দিয়েছে যিনি সংসদেই অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে নিরাপত্তা কেমন পাবেন, তা নিয়ে দিল্লির মহিলাদের ভাবনাচিন্তা করা উচিত।
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে সাফাই দিয়েছেন বিধুরি। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের যদি এতই যন্ত্রণা পায়, তাহলে হেমা মালিনীর ক্ষেত্রে তারা ক্ষমা চায়নি কেন?’ যদিও তাতে সমালোচনা থামছে না। ফাইল চিত্র