বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
এবার পূর্ণকুম্ভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাবেন। কিন্তু তিনি ধর্ম সম্মেলনের সময়ই যাবেন কি না, সেটা নিশ্চিত নয়। পূর্ণকুম্ভে শাহি স্নানেও অংশ নেবেন মোদি। যদিও পৌষ পূর্ণিমা, মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা, মাঘী পূর্ণিমা এবং শিবরাত্রি—১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগের পূর্ণকুম্ভের কোন শাহি স্নানে প্রধানমন্ত্রী হাজির হবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পক্ষান্তরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুই ভূমিকায় উপস্থিত থাকবেন কুম্ভে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে, অন্যদিকে গোরক্ষনাথ মঠের মঠাধীশ মোহন্ত। প্রথম ভূমিকায় তিনি দেখবেন, কুম্ভমেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে সংঘটিত হয়। তার জন্য দফায় দফায় যাতায়াত তিনি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। আর মোহন্ত হিসেবে তিনি যাবেন শাহি স্নানে। সুতরাং পূর্ণকুম্ভে তাঁর দ্বৈত ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালে শপথ নেওয়ার পর ২০২২ সালে ফের জয়ী হয়ে সরকার পরিচালনা করছেন তিনি। কিন্তু প্রয়াগে পূর্ণকুম্ভ এই প্রথমবার পেয়েছেন নিজের শাসনকালে। অযোধ্যার রামমন্দির এবং পূর্ণকুম্ভ—দুই মহা ইভেন্ট সফলভাবে রূপদানকে তিনি যে ঢালাও প্রচারের অস্ত্র করবেন, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এবার ধর্মমহাসম্মেলন তাঁকে এবং তাঁর অনুগামীদের বাড়তি আশা জাগিয়েছে। কারণ তাঁরা জানেন, পূর্ণকুম্ভের ধর্মমহাসম্মেলনে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। প্রশ্ন একটাই— ১২ বছর পর কি ফের এই মঞ্চ থেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে? যোগী আদিত্যনাথ কিন্তু সেই আশায় রয়েছেন। এই ধর্ম সম্মেলন বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ কেন? কারণ, ২০২৫ সাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ। এই বছরে আরএসএসের লক্ষ্য কী হবে? জল্পনা বাড়ছে। এবারের পূর্ণকুম্ভ তাই শুধু ধর্ম ও আবেগ নয়, রাজনৈতিক আকর্ষণেরও কেন্দ্রবিন্দু!