বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
কৃষকের উপার্জন দ্বিগুণ করতে গেলে কৃষিক্ষেত্রে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১০.৪ শতাংশ হতে হবে। এ সংক্রান্ত কৃষিমন্ত্রকের বিশেষ কমিটি রিপোর্টই একথা বলছে। অথচ ২০২৫ সালে বৃদ্ধির হার মেরেকেটে সাড়ে তিন থেকে চার শতাংশ হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন শিবরাজ। ফলে সরকারের পক্ষে একপ্রকার ইঙ্গিত, আয় দ্বিগুণের পরিকল্পনায় এখনই সাফল্যের কোন জায়গা নেই।
কৃষিমন্ত্রকের নথি বলছে, দেশে কৃষক পরিবারের মাসিক আয় গড়ে ১০ হাজার ২১৮ টাকা। অর্থাৎ বছরে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬১৬ টাকা। ভালো কথা! কিন্তু একাংশ কৃষকের যে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। কারণ, ঋণের বোঝা। মন্ত্রকের রিপোর্টই বলছে, কৃষক পরিবারের গড় ঋণের পরিমাণ ৭৪ হাজার ১২১ টাকা। যদিও এই হিসেব ২০১৮-১৯ কৃষিবর্ষের ( জুলাই থেকে জুন)। বর্তমানে উপার্জন কত? সরকারের কাছে স্পষ্ট কোনও হিসেব নেই।
এরপরেও শিবরাজ জানিয়েছেন, আমাদের সরকার কৃষকদের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মোদিজিকে ধন্যবাদ যে বছরের প্রথম দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফসল বিমা যোজনায় বাড়তি ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষকের ওপর সারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব যাতে না পড়ে, সেজন্য ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি)-র ক্ষেত্রে এককালীন ৩,৮৫০ কোটি টাকার স্পেশাল প্যাকেজ অনুমোদন হয়েছে। কৃষকরা ৫০ কিলো ওজন ব্যাগের ডিএপি পাবেন ১,৩৫০ টাকাতেই। বাসমতী নয়, এমন চালের রপ্তানিও বাড়ানো হবে। ইন্দোনেশিয়াকে দেওয়া হবে ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল। এতে কৃষকদের হাতেই অর্থ আসবে। কিন্তু দ্বিগুনের প্রতিশ্রুতি? জবাব নেই মন্ত্রকের কাছে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি শিলমোহরের দাবিতে পাঞ্জাবে অনশনরত কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি? শিবরাজের জবাব, এ ব্যাপারে মামলা সুপ্রিম কোর্টে। আদালত যা বলবে তাই হবে। আলাদা করে কোনও মন্তব্য নেই।