বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, রবিবার বর্ষবরণের রাতে লখনউয়ের একটি হোটেলে উঠেছিল বদাউনের ওই পরিবার। সেখান থেকেই অভিযুক্ত যুবক আরশাদের মা আসমা, চার বোন আলিয়া (৯), আলসিয়া (১৯), আকসা (১৬), রাহমিন (১৮)-এর দেহ উদ্ধার হয়েছে। খুনের পর সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিও পোস্ট করে অভিযুক্ত। ভিডিওতে মা-বোনেদের নিথর দেহ দেখিয়ে আরশাদ জানায়, শ্বাসরোধ করে হাতের শিরা কেটে সকলকে হত্যা করেছে সে। সেন্ট্রাল লখনউয়ের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিস রবিনা ত্যাগী জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সেখানে নমুনাও সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দল।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লখনউয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে আরশাদের দাবি, জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে তাদের বাড়ি ছাড়া হতে হয়। ওই দুষ্কৃতীরা তার বোনেদেরও পাচার করে দিতে চাইছে। সেজন্য পরিবারের সম্মান বাঁচাতে মা ও বোনেদের খুন করেছে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা খতিয়ে দেখেনি ‘বর্তমান’।
অভিযুক্তর দাবি, ‘প্রতিবেশীরা আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। আমরা বারবার অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কেউ শোনেনি। নিজেদের বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে গত ১৫ দিন ধরে ফুটপাতে রাত কাটাতে হচ্ছে। ঠাণ্ডায় কাঁপছিলাম। আমরা চাইনি ছোট ছোট শিশুরা ঠাণ্ডায় কষ্ট পাক। জমি মাফিয়ারা আমাদের বাড়ি কেড়ে নিয়েছে। অথচ সমস্ত কাগজপত্র আমাদের সঙ্গে রয়েছে।’
কয়েকজনের নামও এই ভিডিওতে উল্লেখ করেছে আরশাদ। তার দাবি, ‘ওই ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই জমি মাফিয়া। তারা নারী পাচারের সঙ্গেও যুক্ত। আমাকে আর বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছিল। তারপরই বোনেদেরও পাচার করে দিত। আমরা সেটা চাইনি। তাই বাধ্য হয়েই চার বোনকে খুন করতে হল।’ এমনকী প্রতিবেশীরা তাদের বাংলাদেশি বলেও দেগে দিয়েছিল বলে ওই ভিডিওতে দাবি করেছে অভিযুক্ত। আরশাদ জানিয়েছে, তাদের গোটা পরিবার ধর্মান্তরিত হতে চেয়েছিল। কিন্তু, এক্ষেত্রেও কোনও সাহায্য মেলেনি। তাদের এই অবস্থার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জি জানিয়েছে অভিযুক্ত।