মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছিল, প্রয়াগরাজের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। পরীক্ষার দিন খুব সকালেই মোবাইলে প্রশ্নপত্রে ছবি তুলে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। কিন্তু পরে বিশেষ তদন্তকারী দল ভোপালের ছাপাখানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টিও জানতে পারে।
ছাপাখানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ক্ষেত্রে চারজনের নাম জানতে পারে পুলিস। রাজীবনারায়ণ মিশ্র, সুনীল রঘুবংশী, বিশাল দুবে ও সুভাষ প্রকাশ। চারজনই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ। এদের মধ্যে সুনীল ওই ছাপাখানাতেই কাজ করত। বিশালের সহপাঠী হওয়ার সুবাদে সুনীলের সঙ্গে বাকিদের পরিচয় হয়। রিভিউ অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিভিউ অফিসারের চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির চক্রান্ত করে তারা। এর জন্য সুনীল ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়া ঠেকাতে সে কারও হাতে সেটি দিতে অস্বীকার করে। মেশিন সারানোর নাম করে প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি সেট সরায় সুনীল। যারা প্রশ্নপত্র পাওয়ার বিনিময়ে টাকা দিয়েছিল, তাদের পরীক্ষার তিনদিন আগে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখে রাজীব। সুভাষ একজনের সাহায্যে ওই প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে। এরপর মাথাপিছু ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের ওই উত্তরপত্র মুখস্ত করানো হয়। পুলিস তদন্তে জানতে পারে, আরও বেশি টাকার লোভে রাজীব ওই প্রশ্নপত্রের ছবি সলভার গ্যাংয়ের রবি অত্রিকে পাঠায়।
সেখান থেকে প্রশপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের পুলিস কনস্টেবল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের মাস্টারমাইন্ড রবিকে কয়েকদিন আগে নিট দুর্নীতিতেও জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের ওই চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সুনীল সহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বাকিদের খোঁজে তদন্ত চলছে।