পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে কল্লাকুরিচি জেলার করুণাপূরমে। বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত বুধবার রাতে একটি চোলাইয়ের ঠেকে বিষমদ খেয়েছিলেন অনেকে। তাঁদের অধিকাংশই দিনমজুর। প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ওই মদ বিক্রি হচ্ছিল। ওই মদ খাওয়ার পরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৮ জনের। তাঁদের মধ্যে ৪ জন মহিলা ও একজন রূপান্তরকামী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবি-সিআইডি। বৃহস্পতিবার অবৈধ মদের দোকানে হানা দিয়ে মালিক গোবিন্দরাজ সহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মৃতদের পরিজনদের ১০ লক্ষ টাকা ও চিকিৎসাধীনদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিসের ডিজিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই চেন্নাইয়ে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে মাদ্রাজ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি গোকুলদাসের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিশন গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সাসপেন্ড করা হয়েছে জেলার পুলিশ সুপারকে। পাশাপাশি দু’হাজার পুলিস আধিকারিককেও সাসপেন্ড করেছে ডিএমকে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রহ্মণ্যম, ক্রীড়ামন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থদের খোঁজখবর নিয়েছেন। মৃতদের পরিজনদের সঙ্গেও তাঁরা দেখা করেছেন। সরকারিসূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে অন্তত ১১৬ জন ভর্তি। পুলিস সূত্রে দাবি, মদে অতিরিক্ত মাত্রায় মিথানল মেশানো হয়েছিল। তার ফলেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ২০০ লিটার মদ। মাদ্রাজ হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে।
ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। বিরোধী দলনেতা এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামী দেখা করতে যান মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে। বিষমদকাণ্ডে ডিএমকে সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। অবৈধ মদের সঙ্গে ‘বড় গ্যাং’ জড়িত রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি। রাজ্য বিজেপি সভাপতির কে আন্নামালাইও বেআইনি মদের রমরমা নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। বিষমদকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল আর এন রবি। বিষমদে প্রাণহানি রুখতে সরকারকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।