পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বুধবার রাতেই ইউজিসি-নেট বাতিল করার ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, পরীক্ষার একদিন পরেই কেন তড়িঘড়ি বাতিল করে দিতে হল গোটা পরীক্ষা! তাহলে কি নিটের মতো প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে নেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাতেও? আর সেকথা জানতে পেরেই কি মুখ বাঁচাতে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা? কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের যুগ্মসচিব গোবিন্দ জয়সওয়ালের অবশ্য দাবি, নেট নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পুরো বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্তের জন্যই সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই কারণে এখনই এনিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও বিভিন্ন এজেন্সি থেকে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ফের পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হবে।’
যদিও পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণার পরেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর মোদি একটি বড়সড় ‘তামাশা’র আয়োজন করেন। যার পোশাকি নাম—‘পরীক্ষা পে চর্চা’। কিন্তু তাঁর সরকার প্রশ্নফাঁস ও দুর্নীতি ছাড়া কোনও পরীক্ষাই নিতে পারে না। এবার ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র মতো তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও কোনও অনুষ্ঠান করেন কি না, সেটাই দেখার। এক্স হ্যান্ডেলে মল্লিকার্জুন খাড়্গে লেখেন, ‘দেশের শিক্ষা ও নিয়োগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে মোদি সরকার। নিট, ইউজিসি নেট, কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্টে অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়ে বহু হইচই হলেও আদতে তা সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয়।’
পরীক্ষার একদিনের মধ্যেই ইউজিসি-নেট বাতিল নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন পদ্মশ্রী পদার্থবিদ রোহিনী গোড়বোলে। বৃহস্পতিবার আইসার কলকাতার সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় যে পরিবর্তনগুলি আনা হচ্ছে, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আশা করব, শিক্ষাক্ষেত্রকে এই ধরনের পরিবর্তন ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।’ প্রসঙ্গত, এবছরই কম্পিউটারের বদলে ওএমআর শিটে নেওয়া হয়েছিল ইউজিসি নেট। পরীক্ষা বাতিল নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘দুর্নীতির বাজারে নবতম সংযোজন নেট। সিবিআই দুর্নীতির মাথাকে ধরতে পারে কি না, সেটাই প্রশ্ন।’
ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকার ও এনটিএ উভয়েই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে বলে তোপ দেগেছে তারা। তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন, ‘দেশের পরীক্ষা ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছে। আকছার প্রশ্ন ফাঁস, অনিয়মের ঘটনা ঘটছে। আর এই বেআইনি কাজের অংশ হয়ে যাচ্ছে এনটিএ।’
বিজেপির আমলে একদল চক্রান্তকারী পরীক্ষাতেও রিগিং করছে বলে কটাক্ষ করেছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব।