পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রয়াগরাজের ওই মহিলা অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কিন্তু, এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। উপরন্তু তাঁর জাত নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। ২০২০ সালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। কিন্তু, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। তবে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেই অভিযোগকারিণী এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত যুবক জানান, সম্মতির ভিত্তিতেই তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু, অভিযোগকারিণীর দাবি অনুযায়ী তিনি ‘যাদব’ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত নয় জানতে পেরেই তিনি বিয়েতে রাজি হননি। আদালত জানতে পারে, ২০১০ সালে অভিযোগকারিণীর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর থেকে তিনি স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকছেন। কিন্তু, আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ না করেই তিনি নিজের জাত লুকিয়ে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে সহবাস করেছেন। বিচারপতিরা বলেন, ওই মহিলা ইতিমধ্যেই বিবাহিত। তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ না করে এবং নিজের জাত গোপন করে কোনও আপত্তি ও দ্বিধা ছাড়াই যে, পাঁচ বছর ধরে অভিযুক্তের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। এরপরই আদালত মন্তব্য করে, এটা বুঝতে হবে, ‘পুরুষ সঙ্গী সবসময় ভুল নয়।’ এই যুক্তিতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করা হয়।