পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
আর তিন মাস। মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপি বিদায় আসন্ন। শনিবার মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের আশাতীত সাফল্যের পর এই দাবি করেছে ইন্ডিয়া জোটের অন্তর্গত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের শরিক। উদ্ধব থ্যাকারে (শিবসেনা), শারদ পাওয়ার (এনসিপি) এবং কংগ্রেসের পৃথ্বীরাজ চৌহান যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে মহারাষ্ট্রবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শারদ পাওয়ার বলেন, আর তিন মাস পর মহারাষ্ট্রে সরকার বদলে যাবে। এদিন ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী কয়েকমাসের মধ্যে লোকসভা ভোট হবে এবং সেই ভোটেও শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস একজোট হয়ে ইন্ডিয়া জোটের ছাতার তলায় লড়াই করবে। আসন সমঝোতার আলোচনাও শুরু হয়েছে। তাঁরা বলেন, মহারাষ্ট্রের লোকসভা ভোটের ফলাফল থেকেই স্পষ্ট যে, আগামী কাল বিধানসভা ভোট হলেই বিজেপি সরকারের পতন হবে।
একদিকে যেখানে মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোট এখন থেকেই আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, সেখানে বিজেপি জোটের সম্পূর্ণ ছত্রভঙ্গ দশা। অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে নিয়ে ভোটে না লড়াই করার প্রবল চাপ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। আবার একনাথ সিন্ধের সঙ্গে আসন সমঝোতার ফর্মুলা নিয়ে এখন থেকেই উঠছে আপত্তির সুর। তাঁর সঙ্গে যতজন বিধায়ক শিবসেনা ভেঙে চলে এসেছিলেন, তাঁদের সকলকেই প্রার্থী করতে হবে বলে দাবি করেছেন একনাথ সিন্ধে। বিজেপি সেটা মেনে নেবে না। তাই এখন থেকে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।
শুধুই মহারাষ্ট্র নয়, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ডেও উজ্জীবিত ইন্ডিয়া জোট নেমে পড়ছে বিধানসভা প্রস্তুতিতে। এই দুই রাজ্যে বিজেপির বর্তমান জোট এবং প্রাক্তন জোট শরিকদের কাছে টানারও চেষ্টা শুরু করা হয়েছে। হরিয়ানায় লোকসভা ভোটে জাঠ, দলিত, কৃষক ফ্যাক্টর বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে। সেই ক্ষোভই বিধানসভায় আবার কাজে লাগাতে মরিয়া ইন্ডিয়া জোট। আর ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনকে জেলে পাঠানোর ইস্যুকে আরও বেশি করে সামনে আনা হবে।