একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
মালকানগিরিতে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে হিমন্ত বলেন, ‘মানুষ জানতে চাইছে, কেন আমরা ৪০০ আসন চাইছি। ভারতে আর যাতে বাবরি মসজিদ তৈরি হতে না পারে, আমাদের সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’ দিন কয়েক আগে মোদির মুখেও একই কথা শোনা গিয়েছিল। যদিও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ইতিমধ্যেই এর পাল্টা উত্তর দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রামমন্দির তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সম্মান করে।’ অন্যদিকে, বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের সমর্থনে শ্যামনগর অন্নপূর্ণা মাঠের সভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন হিমন্ত। মমতাকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘গুয়াহাটিতে পেট্রোলের লিটার ৯৬ টাকা আর পশ্চিমবঙ্গে ১০৩ টাকা। লিটার পিছু সাত টাকা করে বেশি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার ডিজেলের লিটার পিছু তিন টাকা করে। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।’ এদিন হিমন্তের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথাও শোনা যায়। তাঁর দাবি, অসমের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের থেকে বেশি টাকা পান।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বলাগড়ের সভায় ‘একনায়কতন্ত্র’র ঝলক দেখিয়ে গেলেন হিমন্ত। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘অসমে যদি সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটত, ২৪ঘণ্টার মধ্যে ট্রিটমেন্ট হয়ে যেত।’ তাঁর আরও দাবি, ‘স্টিং অপারেশন কেন করতে হল? বিচার ব্যবস্থার উপরে ভরসা নেই? না কী সত্যকে আড়াল করতে চাওয়া।’ মণিপুরের হিংসা নিয়ে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, ‘যেভাবে উনি জামিন পেয়েছেন আত্মসম্মান বোধ থাকলে হাতজোড় করে বলতেন, জামিন নেব না।’ দু’দিন আগে বলাগড়ে সভা করে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সভাকে টেক্কা দিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করানোর কৌশল নেওয়া হয়। কিন্তু জনজোয়ার বা উন্মাদনার নিরিখে এদিনের সভা অনেকটাই নিস্তরঙ্গ ছিল।