একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এতে অবশ্য আম আদমি পার্টিকে দাবিয়ে রাখা যাচ্ছে না। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই দিল্লি ও পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রবল উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কারণ, ভোটপ্রচারে কেজরিওয়ালের থাকা এবং না থাকার মধ্যে বিপুল পার্থক্য। বস্তুত এতদিন ধরে স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল, দলের নেতা তথা সরকারের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ, আতিশী, সঞ্জয় সিং, সোমনাথ ভারতীরা কেজরিওয়ালের হয়ে তাঁর নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রচারের অভিমুখ পরিচালনা করছিলেন। এবার স্বয়ং কেজরিওয়ালই নির্বাচনী আসরে হাজির হওয়ায় দলের মনোবল এক ধাক্কায় অনেক বেড়ে যাবে। একইসঙ্গে হাত শক্ত হবে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’রও। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী নেতা-নেত্রীরা ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদব, এম কে স্ট্যালিন, কল্পনা সোরেন... প্রত্যেকে লোকসভার লড়াইয়ে স্বাগত জানিয়েছেন কেজরিওয়ালকে। মমতা বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত খুশি। লোকসভা নির্বাচনে মহাজোট ইন্ডিয়ার হাত আরও শক্ত হল। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে কংগ্রেসও।
গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি এবং টাকা পাচার মামলায় গ্রেপ্তারির পর কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ‘বেশিদিন নয়। আবার ফিরে আসব। নরেন্দ্র মোদি ফাঁকা মাঠে জিততে চান। কিন্তু কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারবেন না।’ এদিন মুক্তির পর তিনি বলেছেন, ‘৪ হাজার বছরের ঐতিহ্য ভারতের। কিন্তু যখনই কেউ এখানে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, দেশবাসী মেনে নেয়নি। আজ দেশ আবার স্বৈরাচারী শাসনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন, এগিয়ে আসুন, উৎখাত করুন।’
কিছুদিন আগেই আপ এমপি সঞ্জয় সিংয়ের জামিন হয়েছিল। এবার কেজরিওয়াল। এরপর কি হেমন্ত সোরেন, মনীশ সিশোদিয়াদের পালা? মোদির নির্দেশে ইডি বিরোধীদের গ্রেপ্তার করে ভোট ময়দানের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারছে না। তাই শুক্রবারের রাজনৈতিক মোচড় অবশ্যই বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। কেজরিওয়াল এই দেড়মাসের বন্দিজীবনকে প্রচারে এনে কীভাবে আক্রমণ শানাবেন, সেটা নিয়ে বিজেপি ঘোরতর শঙ্কায়। এতদিন গেরুয়া শিবির নিশ্চিত ছিল, দিল্লি ও পাঞ্জাবে মোদি একাই ঝড় তুলবেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে দিল সুপ্রিম কোর্টের রায়। মোদি বনাম মমতা। মোদি বনাম স্ট্যালিন। মোদি বনাম তেজস্বী। মোদি বনাম অখিলেশ। মোদি বনাম রাহুল। মোদি বনাম উদ্ধব। অবশেষে মোদি বনাম কেজরিওয়ালও। শক্তি বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’র।