শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
গুজরাতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ক্রমশ বাড়ছে করোনা। প্রথম এক সপ্তাহে গড় ৩০০-র কিছু বেশি বৃদ্ধি হলেও, এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫০০রও বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, স্রেফ ৭ মার্চ ৫৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার আক্রান্তের খবর আসছে পাঞ্জাব থেকেও। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৫৯ জন আক্রান্ত। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিতে মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবে ফের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে পরিস্থিতি চাক্ষুস করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নিপুন বিনায়কের নেতৃত্বে তিন সদসস্যের কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ টিম। সরকারকে তারা রিপোর্ট দিয়েছে, গাফিলতির পাশাপাশি ডোন্ট কেয়ার মনোভাবের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বাস-ট্রেনের ভিড়ই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। করোনা নিয়ে মহারাষ্ট্রের মানুষের তেমন কোনও ভয় নেই বলেও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, করোনার প্রকোপ ক্রমছে বলেই দাবি করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেছেন, দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও অতিমারীর পর্ব শেষ হয়েছে। কিন্তু তথ্য বলছে, রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত পাঁচদিন ধরেই বাড়ছে সংক্রমণ।
এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। এমপিদের তো বটেই, তাঁদের পরিবারের জন্যও বিশেষ টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব যেকোনও নাগরিক এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি কোমরবিড রোগীদের সরকার বিনামূল্যে দুই ডোজের করোনার টিকা দিচ্ছে। এমপিদের মধ্যে ৪৭ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব। তাই তাঁদের জন্য সংসদ ভবনেই টিকার বিশেষ শিবির খোলা হচ্ছে। ৯ মার্চ থেকে সেখানে এমপিরা টিকা নিতে পারবেন। আর এমপি পরিবারের সদস্যদের জন্য টিকার ব্যবস্থা হয়েছে নর্থ এবং সাউথ এভিনিউয়ের সিজিএইচএস ডিসপেনসারিতে। উল্লেখ্য, টিকা নেওয়ার বিষয়টি ঐচ্ছিক হলেও সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রত্যেক এমপিকে করোনার আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতেই হবে।