নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কেন অবিলম্বে বাতিল করা জরুরি, তা বোঝাতে আজ, সোমবার থেকে রাজ্যে রাজ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করছেন কৃষক নেতারা। যাঁদের পুরোভাগে থাকছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত। কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, আপাতত স্থির হয়েছে উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় কৃষক আন্দোলন সমর্থনে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কৃষক মিছিল হবে। আয়োজন করা হবে কৃষক সমাবেশেরও। প্রতিটি রাজ্যই দুই থেকে তিনটি কৃষক সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও আলাদা করে কৃষক সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে কিষান মোর্চা। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। এবার সেই আন্দোলন যেভাবে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা, তা চাপ বাড়িয়েছে সরকার পক্ষের। অন্যদিকে, রবিবার কৃষক ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এদিন উত্তরপ্রদেশের মিরাটে একটি কিষান মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যে কথা বলেছে। তিনটি কৃষি আইন আদতেই কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা। মিথ্যে কথা বলছে উত্তরপ্রদেশ সরকারও। অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কাঠগড়ায় তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্য সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত। উত্তরপ্রদেশের আখচাষিরা গত দু’বছর ধরে বকেয়া পাচ্ছেন না। চিনিকল নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে, তারও সুরাহার ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কোনও হেলদোল নেই। টালবাহানা করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় গিয়েও আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।