নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজেশন (জেকেটিপিও)-এর সঙ্গে ইন্দো-কানাডা চেম্বার অব কর্মাসের (আইসিসিসি) একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন টরেন্টোয় ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল। সেখানে কনস্যুলেটের কনসাল জেনরেল অপূর্ব শ্রীবাস্তব বলেন, ‘কানাডায় হস্ত ও তাঁতশিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমি কানাডার ব্যবসায়ীদের জম্মু ও কাশ্মীরের হস্তশিল্প ও তাঁতজাত পণ্যের আমদানিতে উৎসাহ দেব।’
এ প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের হস্তশিল্প বিভাগের আহমেদ শাহ বলেন, কানাডায় হস্তশিল্প ও তাঁত পণ্যের বিপণনের জন্য সেদেশের প্রতিনিধিরা এপ্রিলে উপত্যকায় আসছেন। সম্প্রতি ভার্চুয়াল বৈঠক চলার সময় হস্তশিল্পের এবং তাঁতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনী ও তথ্য তুলে ধরা হয়। আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে এপ্রিলেই উপত্যকায় আসছে কানাডার বাণিজ্য দল। তিনি আরও বলেছেন, কাশ্মীরের তৈরি শাল, কার্পেট ও উলের চাদর আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু কানাডায় প্রবল শীত সত্ত্বেও এসব সামগ্রীর রপ্তানি খুবই কম। তবুও জম্মু ও কাশ্মীরের হস্ত ও তাঁতশিল্পের প্রতি কানাডাবাসীর আগ্রহে আমরা খুশি। আশা করছি, এবার সেদেশেও প্রচুর পরিমাণে এই সমস্ত পণ্য রপ্তানি করতে পারব।
২০১৯-২০ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের তৈরি প্রায় ১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা মূল্যের উলের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে করোনা মহামারির জেরে ধাক্কা খায় রপ্তানি। এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায় ফের এসব সামগ্রী রপ্তানি হবে বলে আশা করছেন উপত্যকার ব্যবসায়ীরা। শাহ বলেন, উপত্যকার হস্তশিল্পের বিপণন বাড়াতে দিল্লি হাট এবং বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী করা হবে। এছাড়াও হস্তশিল্পের জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে ৫০০ সেন্টার খোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে মোট ১৩ হাজার জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।