কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, গত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই মহিলার ১৭বার আরটিপিসিআর পরীক্ষা হয়েছে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে ১৪বার। প্রতিটি পরীক্ষার ফলই পজিটিভ এসেছে। রাজস্থানের ভরতপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা একটি আশ্রমে থাকতেন। গত আগস্টে সেখানেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এর পরই তাঁকে আরবিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জানানো হয়, হোমেই আইসোলেশনে থাকতে পারেন তিনি। কিন্তু পাঁচমাসে ৩১বার তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় হতভম্ব চিকিৎসকরা। অবাক হোম কর্তৃপক্ষও। ওই মহিলাকে জয়পুর এসএমএস হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ—তিন ধরনের চিকিৎসাই করা হয়েছে তাঁর। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। অথচ আশ্চর্যের বিষয়, বর্তমানে মহিলার সেভাবে কোনও শারীরিক অসুস্থতাও নেই।
আশ্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বিএম ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, ওই মহিলা যখন হোমে এসেছিলেন, তখন তিনি এতটাই দুর্বল ছিলেন যে, ঠিকমতো হাঁটতেও পারতেন না। কিন্তু এখন তিনি যথেষ্টই সুস্থ। এমনকী তাঁর ৭-৮ কেজি ওজনও বেড়েছে। তবে, কেন এতদিন ধরে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটা নিয়েই আমরা চিন্তিত। যদিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনেকে মনে করছেন, কম প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই হয়তো তাঁর করোনা রিপোর্ট প্রতিবারই পজিটিভ আসছে। ভরতপুরের স্বাস্থ্যকর্তা কাপতান সিং জানিয়েছেন, ওই মহিলা বাহ্যিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। এমনকী তাঁর সর্দি-কাশি, জ্বরের কোনও উপসর্গও নেই। তাঁর মতে, দশদিন ধরে যদি কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা না যায়, তা হলে তাঁকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় মৃত ভাইরাস কারও শরীরে পাকস্থলী ও অন্ত্রে থেকে যেতে পারে। সেকারণেও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির থেকে অন্য কারও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না।