প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। বন্ধ সমস্ত যানবাহন। টিঙ্কুর মতো হাজার হাজার শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আটকে পড়েছেন। মহারাষ্ট্রের পালঘরে আটকে পড়েছেন গুজরাত ও রাজস্থানের অন্তত তিন হাজার শ্রমিক। করোনা মোকাবিলায় এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়ি ফেরার কোনও উপায় নেই। মুম্বইয়ে ওই শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়েছিলেন। আপাতত মহারাষ্ট্র-গুজরাত সীমান্তের পালঘরে জাতীয় সড়কের উপর আকাশের নীচে তাঁদের দিন কাটছে। এদিকে আটকে পড়া শ্রমিকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি। তিনি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার, জল ও থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও দিল্লিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাড়িতে না ফিরে সেখানেই থেকে যাওয়ার আবেদন করেছেন। শনিবার তিনি বলেন, শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য সরকার বাসের ব্যবস্থা করেছে। তবুও লকডাউন পালন করার জন্য শ্রমিকদের দিল্লি না ছাড়ার পরামর্শ দিলেন কেজরিওয়াল। শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে শ্রমিকদের জন্য উদ্যোগী হয়েছে পাঞ্জাব সরকারও। পাঞ্জাবের বিশেষ মুখ্যসচিব করণবীর সিং সিঁধু রূপনগরের জেলাশাসক সোনালি গিরিকে কিরাতপুরে আটকে পড়া শ্রমিকদের দ্রুত সাহায্য করার নির্দেশ দেন। জেলাশাসকের উদ্যোগে ওই শ্রমিকদের জন্য চাল, আটা, ময়দা, তেল, নুন, চিনি ও ডালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এহেন লকডাউন পরিস্থিতিতেও হরিয়ানায় কর্মরত বহু শ্রমিক নিজেদের রাজ্য বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে ফিরতে শুরু করেছেন। এমনকী বাস না পেয়ে শ্রমিকরা পরিবারকে নিয়ে হেঁটেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।