প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারংবার বলেছে, ভারতে পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে। করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় দু’টি পন্থাকেই চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য লকডাউন এবং ২) টেস্ট-টেস্ট-টেস্ট। অর্থাৎ যত বেশি পরীক্ষা করা সম্ভব হবে, ততই বেশি সংখ্যক মানুষকে চিহ্নিত করে চিকিৎসায় আওতায় নিয়ে এসে সংক্রমণের প্রবণতা কমানো যাবে। কিন্তু পরীক্ষা না হওয়ার অর্থ হল, কাগজে কলমে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হয়তো কম দেখা যাবে, কিন্তু আড়ালে বেড়ে যাবে বহু রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমণ। আর সেই প্রবণতা নিয়ে যাবে স্টেজ থ্রিতে অর্থাৎ সামাজিক ট্রান্সমিশনের দিকে ঠেলে দেবে দেশকে। এই লক্ষ্যেই ভারত বিগত কয়েকদিনে পরীক্ষা কিটের সংখ্যা মরিয়া হয়ে বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাজ্যগুলিও নিজেদের উদ্যোগে কিট নির্মাণ করেছে। তখনই দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
ভারত সরকার দেরি করে করোনা সঙ্কটের মোকাবিলা শুরু করেনি এটা বোঝাতে আজ কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, জানুয়ারি মাসে যখন করোনা ভাইরাসের একটিও কেস ভারতে হয়নি, তখন থেকেই ভারত সরকার উদ্যোগ নেয়। ভারতে ৩০ জানুয়ারি প্রথম করোনা সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গেলেও, ভারত সরকার ১৮ জানুয়ারি থেকেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানিং শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) অনুমোদিত মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা এখন ১১১। আরও ১১টি কেন্দ্র আজকালের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে চারটি পরীক্ষা কেন্দ্র। পাশাপাশি রাজ্যে দু’টি বেসরকারি চিকিৎসা সংস্থাকেও রোগপরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের কারণে সবথেকে যে শ্রেণি চরম দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন প্রান্তে কাজের সন্ধানে যাওয়া ভিনরাজ্যের শ্রমিকের দল। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ওড়িশা, এই চারটি রাজ্যের অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যাই ভারতে বেশি। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস ও রেলস্টেশনগুলিতে এই শ্রমিকের ভিড়ে ছয়লাপ। শনিবার রাতে নয়াদিল্লির আন্তঃরাজ্য বাসস্ট্যান্ডে হাজার হাজার শ্রমিক জড়ো হন বাড়ি ফেরার উদ্দেশে। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে আটকে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের যেন খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এই খাতে কেন্দ্র আজ ৫১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে।